আর্য সমাজ
একটি হিন্দু সংগঠন উইকিপিডিয়া থেকে, বিনামূল্যে একটি বিশ্বকোষ
একটি হিন্দু সংগঠন উইকিপিডিয়া থেকে, বিনামূল্যে একটি বিশ্বকোষ
আর্য সমাজ (সংস্কৃত: आर्य समाज, ইংরেজি: ārya samāja "Noble Society") হচ্ছে বৈদিক মত পুনঃপ্রতিষ্ঠার জন্য স্বামী দয়ানন্দ সরস্বতী কর্তৃক ১৮৭৫ সালে প্রতিষ্ঠিত একটি হিন্দু সংগঠন ও সংস্কার আন্দোলন।[2] স্বামী দয়ানন্দ সরস্বতী ছিলেন একজন বেদ প্রচারক। আর্য সমাজ মূলত বেদমূলক সিদ্ধান্তের উপর প্রতিষ্ঠিত। আর্য সমাজ প্রতিষ্ঠার পূর্বে সংগঠনের বাহ্যিক মান্যতারূপে স্বামী দয়ানন্দ ১০টি নীতি প্রণয়ন করেন। আর্য সমাজের সদস্যগণ নীতিগুলো মেনে চলেন। সংগঠনটি একেশ্বরবাদে বিশ্বাসী এবং এর উপাসনা পদ্ধতি ষড়দর্শনের অন্যতম যোগদর্শের অষ্টাঙ্গযোগের উপরে প্রতিষ্ঠিত।[3]
নীতিবাক্য | "कृण्वन्तो विश्वमार्यम्" "কৃণ্বন্তো বিশ্বমার্যম্" সমগ্র বিশ্বকে মহৎ(আর্য) করে তোল। |
---|---|
গঠিত | ১০ এপ্রিল ১৮৭৫ বোম্বাই, বোম্বে প্রেসিডেন্সি, ব্রিটিশ ভারত (বর্তমান মুম্বই, মহারাষ্ট্র, ভারত) |
প্রতিষ্ঠাতা | স্বামী দয়ানন্দ সরস্বতী |
ধরন | ধর্মীয় সংগঠন |
আইনি অবস্থা | প্রতিষ্ঠান |
উদ্দেশ্য | বৈদিক শিক্ষাবিষয়ক, ধার্মিক অধ্যায়ন, আধ্যাত্মিকতা, |
সদরদপ্তর | আজমির, রাজস্থান, ভারত |
স্থানাঙ্ক | ২৬.৪৪৯৯° উত্তর ৭৪.৬৩৯৯° পূর্ব |
এলাকাগত সেবা | বিশ্বব্যাপী |
দাপ্তরিক ভাষা | হিন্দি |
প্রধান অঙ্গ | श्रीमती परोपकारिणी सभा – শ্রীমতী পরোপকারিণী সভা[1] |
ওয়েবসাইট | http://www.paropkarinisabha.com |
আর্য সমাজ আধুনিক সময়ে সর্বপ্রথম হিন্দুধর্মে প্রত্যাবর্তন প্রক্রিয়ার প্রচলন করে।[4][5] সংস্থাটি ১৮০০ সাল থেকে ভারতে নাগরিক অধিকার বৃদ্ধির আন্দোলনের দিকেও কাজ করেছে।[6]
১৮৭৫ সালের ১০ই এপ্রিল দয়ানন্দ সরস্বতী বোম্বেতে আর্য সমাজের প্রতিষ্ঠা করেন।[7]
১৮৬৯ থেকে ১৮৭৩ এর মধ্যে স্বামী দয়ানন্দ সরস্বতী ভারতে নৈষ্ঠিক হিন্দু ধর্মের সংস্কারের জন্য তার প্রথম সংস্কার প্রচেষ্টা চালান। এই প্রচেষ্টা ছিল মূলত “বৈদিক বিদ্যালয়” বা “গুরুকুল” স্থাপনের লক্ষ্যে যা শিক্ষার্থীদের বৈদিক জ্ঞান, সংস্কৃতি ও ধর্ম সম্পর্কে গুরুত্ব আরোপ করে। এসব বিদ্যালয়গুলোতে প্রাচীন বৈদিক নীতির ভিত্তিতে ছেলে এবং মেয়েদের আলাদা করে শিক্ষা দেওয়া হতো। বৈদিক বিদ্যালয় ব্যবস্থার উদ্দেশ্য ছিল ভারতের ব্রিটিশ শিক্ষানীতি থেকে মুক্তি।[8]
প্রথম বিদ্যালয়টি ১৮৬৯ সালে ফররুখাবাদে[9] প্রতিষ্ঠিত হয় মাত্র ৫০ জন শিক্ষার্থীদের নিয়ে। প্রারম্ভিক সাফল্যের ফলে মির্জাপুর (১৮৭০), কাসগঞ্জ (১৮৭০), ছলেসার (আলিগড়) (১৮৭০) এবং বারাণসী(১৮৭৩)-তে দ্রুত বেশ কিছু বিদ্যালয় স্থাপিত হয়। বৈদিক বিদ্যালয় সমূহ মূলত স্বামী দয়ানন্দের সামাজিক ও ধর্মীয় সংস্কারের প্রায়োগিক প্রয়াসকেই তুলে ধরে। একদিকে শিক্ষার্থীরা বিদ্যালয়ে ঐতিহ্যগত মূর্তিপূজা করতে পারত না, বরং তাদের প্রতিদিন দুবার বৈদিক নিয়ম মেনে সন্ধ্যা বন্দনা ও অগ্নিহোত্র যজ্ঞ করতে হত। অন্যদিকে তাদের সমস্ত খাদ্য, বস্ত্র, বাসস্থান ও বই বিনামূল্যে দেওয়া হতো। তারা ছিল শৃঙ্খলাবদ্ধ। অ-ব্রাহ্মণরাও সংস্কৃত পাঠ করতে পারতো। তাদেরকে প্রধানত বেদ শিক্ষা দেয়া হত। বৈদিক বিদ্যালয়সমূহ দ্রুতই বেশ কিছু সমস্যার সম্মুখীন হয়। সেগুলো মিশ্র প্রতিক্রিয়া পেয়েছিল।
আর্য সমাজ মূলত স্বামী দয়ানন্দ সরস্বতী প্রবর্তিত দশটি নীতির উপর প্রতিষ্ঠিত। নীতিগুলো হচ্ছে:
Seamless Wikipedia browsing. On steroids.
Every time you click a link to Wikipedia, Wiktionary or Wikiquote in your browser's search results, it will show the modern Wikiwand interface.
Wikiwand extension is a five stars, simple, with minimum permission required to keep your browsing private, safe and transparent.