ভারতীয় অভিনেত্রী উইকিপিডিয়া থেকে, বিনামূল্যে একটি বিশ্বকোষ
আম্বিকা (জন্মঃ ১৬ আগস্ট ১৯৬২) একজন ভারতীয় অভিনেত্রী যিনি তামিল, তেলুগু, কন্নড়, মালয়ালম ভাষার ফিল্মে কাজ করেছেন। ১৯৭৮ থেকে ১৯৮৯ পর্যন্ত টপ নায়িকাদের মধ্যে তিনি একজন। তার ছোট বোন রাধাও একজন অভিনেত্রী যিনিও দক্ষিণ ভারতের ভাষার সিনেমাতে কাজ করেছেন। আম্বিকা এবং তার বোন রাধা একসঙ্গে কিছু ফিল্মে কাজ করেছেন এবং সাফল্যের চূড়ায় চড়ার পর 'এআরএস স্টুডিওস' নামে একটি ফিল্মস্টুডিও খোলেন। ২০১৩ সালে অবশ্য তারা এআরএস স্টুডিওসকে একটি বিলাসবহুল হোটেলে রূপান্তরিত করেন।
আম্বিকা | |
---|---|
জন্ম | [১] কাল্লারা, তিরুবনন্তপুরম, কেরল, ভারত | ১৬ আগস্ট ১৯৬২
পেশা | অভিনেত্রী |
কর্মজীবন | ১৯৭৮-১৯৮৯ ১৯৯৭ - বর্তমান |
দাম্পত্য সঙ্গী | শিনু জন (বিয়েঃ ১৯৮৮-১৯৯৭) (বিচ্ছেদ) রবিকান্ত (বিয়েঃ ২০০০-২০০২) (বিচ্ছেদ) |
সন্তান | রামকেষভ (জন্মঃ ১৯৮৯) ঋষিকেশ (জন্মঃ ১৯৯১) |
পিতা-মাতা | কুঞ্জন নায়ার, কাল্লারা সারাসাম্মা[২] |
পরিবার | অভিনেত্রী রাধা (বোন) |
আম্বিকা জন্ম নেন ১৯৬২ সালের ১৬ আগস্টে তিরুবনন্তপুরম জেলাতে কুঞ্জন নায়ার এবং কাল্লারা সারাসাম্মার সন্তান হিসেবে।[৩] কাল্লারা সারাসাম্মা ভারতীয় জাতীয় কংগ্রেসের সদস্য ছিলেন।[৪] তার ছোট দুই বোন রয়েছে, একজন রাধা যিনি তার মতই অভিনেত্রী এবং আরেকজন মল্লিকা (পেশাঃ অজানা), এবং অর্জুন আর সুরেশ নামের তার দুটি ভাইও আছে।[৫][৬] আম্বিকা ১৯৮৮ সালে যুক্তরাষ্ট্র প্রবাসী পুরুষ শিনু জনের সঙ্গে বিবাহবন্ধনে আবদ্ধ হন এবং যুক্তরাষ্ট্র চলে যান। শিনু আম্বিকার গর্ভে দুটি ছেলে (রামকেষভ এবং ঋষিকেশ) জন্ম দেন। ১৯৯৭ সালে শিনু আর আম্বিকার মধ্যে বিবাহবিচ্ছেদ ঘটে আর আম্বিকা ভারতে এসে পুনরায় তার অভিনয় কর্মজীবনের প্রতি মনোনিবেশ করেন। ২০০০ সনে তিনি রবিকান্ত নামের একজন কমজানা অভিনেতাকে বিয়ে করেন। এর দু'বছর পর তাদের বিয়ে ভেঙে যায়। বর্তমানে আম্বিকা তার পুত্র রামকেষভের সঙ্গে চেন্নাই শহরে বাস করছেন।
আম্বিকা শিশুশিল্পী হিসেবে অভিনয় করা শুরু করেছিলেন এবং ১৬ বছর বয়সে (১৯৭৯ সনে) আম্বিকা মুখ্য চরিত্রে একটি চলচ্চিত্রে অভিনয়ের সুযোগ পেয়ে যান এবং তিনি প্রায় ২০০ এর মত দক্ষিণ ভারতীয় ভাষাগুলোর সিনেমায় অভিনয় করেন। নায়িকা হিসেবে তিনি মালয়ালম চলচ্চিত্র 'সীতা' তে প্রথম অভিনয় করেন, যেটি তার ক্যারিয়ারের অনেক দেরীতে মুক্তি পেয়েছিল। কিন্তু ১৯৭৯ এর 'নীলাতামারা' এবং 'লেজ্জাবতী' নামের দুটি মালয়ালম চলচ্চিত্র তাকে ব্যস্ত একজন অভিনেত্রী বানিয়ে দেয়,[৭] এরই মধ্যে তিনি তামিল চলচ্চিত্র শিল্পেও জায়গা পেয়ে যান।[৮]
তামিল চলচ্চিত্র পরিচালক 'কে ভাগ্যরাজ' তার '৮১ সালের 'আন্দা এড়ু নাটকাল' তে আম্বিকাকে নেন, চলচ্চিত্রটি ভালোই ব্যবসা করতে পেরেছিল। তিনি কমল হাসান এবং রজনীকান্ত এর সঙ্গে বেশ কিছু চলচ্চিত্রে অভিনয় করেন যেমন কাক্কী ছাট্টাই, বিক্রম, কাদাল পারিসু, পাড়িক্কাদাবান (রজনী এর সঙ্গে) এবং মাভীরান (রজনী এর সঙ্গে)।[৯]
আশির দশকে তার তামিল, কন্নড় এবং মালয়ালম চলচ্চিত্রে খুব ভালো মত পদচারণা ছিল। তামিল এবং মালয়ালম চলচ্চিত্র শিল্পে তিনি তার মেধার স্বাক্ষর রেখেছেন।[১০]
Seamless Wikipedia browsing. On steroids.