আমাজন নদী
পৃথিবীর দ্বিতীয় দীর্ঘতম নদী / From Wikipedia, the free encyclopedia
আমাজন নদী দক্ষিণ আমেরিকায় অবস্থিত এবং এটি পৃথিবীর বৃহত্তম নদী। এর উৎসস্থল পেরুর আন্দিজ পর্বতের নেভাদো মিস্মি নামক চূড়া হতে। আমাজন নদী দক্ষিণ আমেরিকার প্রায় ৩০০০ মাইল পাড়ি দিয়ে তিনটি দেশ বিধৌত হয়ে আটলান্টিক মহাসাগরে গিয়ে পড়েছে। এই নদী যে পরিমাণ জল ধারণ করে তা বিশ্বের যেকোন নদীর তুলনায় বেশি। আমাজন নদী যেখানে সাগরে গিয়ে মিশেছে সেখানে প্রতি সেকেন্ডে ৪.২ মিলিয়ন ঘন ফুট জল সাগরে গিয়ে পড়ে। বর্ষা মৌসুমে এই পরিমাণ গিয়ে দাঁড়ায় প্রায় ৭ মিলিয়ন ঘন ফুট।
আমাজন নদী Apurímac, ইনি, টাম্বো, ইউকায়ালী, Solimões | |
---|---|
স্থানীয় নাম | আমাজনস {{স্থানীয় নামের পরীক্ষক}} ত্রুটি: প্যারামিটারের মান ত্রুটিপূর্ণ (সাহায্য) |
অবস্থান | |
দেশ | ব্রাজিল, কলাম্বিয়া, পেরু |
শহর | ইকুইটোস (পেরু); লেটিসিয়া (কলাম্বিয়া); টাবাটিংঙ্গা (ব্রাজিল); টেফé (ব্রাজিল); ইটাকোয়েটিয়ারা (ব্রাজিল) পারিন্টিস (ব্রাজিল); Óbidos (ব্রাজিল); Santarém (ব্রাজিল); এলমেরিম (ব্রাজিল); Macapá (ব্রাজিল); মানুস (ব্রাজিল) |
প্রাকৃতিক বৈশিষ্ট্য | |
উৎস | Río Mantaro |
• অবস্থান | Huancayo, Huancayo Province, Peru |
• স্থানাঙ্ক | ১০°৪৩′৫৫″ দক্ষিণ ৭৬°৩৮′৫২″ পশ্চিম |
• উচ্চতা | ৫,২২০ মি (১৭,১৩০ ফু) |
মোহনা | Atlantic Ocean |
• অবস্থান | Brazil |
• স্থানাঙ্ক | ০°৪২′২৮″ উত্তর ৫০°৫′২২″ পশ্চিম[1] |
• উচ্চতা | ০ মি (০ ফু) |
দৈর্ঘ্য | ৬,৪০০ কিমি (৪,০০০ মা)[4] |
অববাহিকার আকার | ৭০,৫০,০০০ কিমি২ (২৭,২০,০০০ মা২)[2] |
নিষ্কাশন | |
• গড় | ২,০৯,০০০ মি৩/সে (৭৪,০০,০০০ ঘনফুট/সে)[5] |
• সর্বনিম্ন | ১,৮০,০০০ মি৩/সে (৬৪,০০,০০০ ঘনফুট/সে) |
• সর্বোচ্চ | ৩,৪০,০০০ মি৩/সে (১,২০,০০,০০০ ঘনফুট/সে) |
অববাহিকার বৈশিষ্ট্য | |
উপনদী | |
• বামে | Marañón, Japurá/Caquetá, রিও নেগ্রো/গুয়াইনিয়া, Putumayo |
• ডানে | উখায়ালী, পুরাস, মাদেইরা, তপাজস, জিংগু |
এটি গড়ে প্রায় ২,০৯,০০০ ঘনমিটার প্রতি সেকেন্ড (৭৪,০০,০০০ ঘনফুট/সে) বহন করে সাগররে দিকে নিয়ে যায়, যা এর পরবর্তী সাতটি সম্পূর্ণ ভিন্ন নদীর জলের সমান। আমাজন মোট বৈশ্বিক জলের প্রায় ২০ ভাগ জল সমুদ্রে বহন করে।[6] আমাজনের অববাহিকা হল পৃথিবীর সর্ববৃহৎ জল নিষ্কাষনকারী অববাহিকা, যার প্রায় ৭০,৫০,০০০ বর্গকিলোমিটার (২৭,২০,০০০ মা২)। শুধুমাত্র ব্রাজিলে অবস্থিত। অববাহিকাটি অন্য যে কোন অববাহিকার তুলনায় বড়। আমাজন ব্রাজিলে শুধুমাত্র তার পুরো প্রবাহের পাঁচ ভাগের একভাগ নিয়ে প্রবেশ করে এবং সবশেষে আটলান্টিক মহাসাগরে গিয়ে মেশে। তবুও সেখানেই সবথেকে বড় প্রবাহ রয়েছে, যা অন্যান্য নদীর চেয়ে বেশি।[7][8]