আঙ্কারা
তুরস্কের রাজধানী / From Wikipedia, the free encyclopedia
আঙ্কারা (তুর্কি: Ankara; /ˈæŋkərə/ ANG-kə-rə, /[অসমর্থিত ইনপুট: 'USalso']ˈɑːŋ-/ AHNG-kə-rə; তুর্কি: [ˈaŋkaɾa] (শুনুনⓘ))[lower-alpha 1] ঐতিহাসিকভাবে আঞ্চিরা ও অ্যাঙ্গোরা নামে পরিচিত,[13] এটি তুরস্কের রাজধানী। আনাতোলিয়ার মধ্য অংশে অবস্থিত এই শহরের জনসংখ্যা সদরে ৫১ লাখ ও আঙ্কারা প্রদেশে ৫৭ লাখ, ইস্তাম্বুলের পরে এটি তুরস্কের দ্বিতীয় বৃহত্তম শহর।
আঙ্কারা Ankara | |
---|---|
রাজধানী ও মেট্রোপলিটন পৌরসভা | |
ডাকনাম: তুরস্কের হৃদয় (তুর্কি: Türkiye'nin Kalbi) | |
তুরস্কের মধ্যে অবস্থান | |
স্থানাঙ্ক: ৩৯°৫৫′৪৮″ উত্তর ৩২°৫১′০০″ পূর্ব | |
দেশ | তুরস্ক |
অঞ্চল | মধ্য আনাতোলিয়া |
প্রদেশ | আঙ্কারা |
প্রতিষ্ঠাতা | মোস্তফা কামাল আতাতুর্ক |
জেলা | ২৫ |
সরকার | |
• মেয়র | মানসুর ইয়াভাশ (সিএইচপি) |
• গভর্নর | ভাসিপ শাহিন |
আয়তন[1][2][3][4] | |
• রাজধানী ও মেট্রোপলিটন পৌরসভা | ২৪,৫২১ বর্গকিমি (৯,৪৬৮ বর্গমাইল) |
• পৌর এলাকা | ২,৭৬৭.৮৫ বর্গকিমি (১,০৬৮.৬৭ বর্গমাইল) |
উচ্চতা | ৯৩৮ মিটার (৩,০৭৭ ফুট) |
জনসংখ্যা (৩১ ডিসেম্বর ২০২২)[5] | |
• রাজধানী ও মেট্রোপলিটন পৌরসভা | ৫৭,৮২,২৮৫ |
• ক্রম | তুরস্কে দ্বিতীয় |
• পৌর এলাকা | ৫১,৮৭,৯৪৯[6][4] |
• পৌর এলাকার জনঘনত্ব | ১,৮৭৪/বর্গকিমি (৪,৮৫০/বর্গমাইল) |
• মহানগর জনঘনত্ব | ২৩৬/বর্গকিমি (৬১০/বর্গমাইল) |
বিশেষণ | আঙ্কারান |
সময় অঞ্চল | টিআরটি (ইউটিসি+৩) |
পোস্টকোড | ০৬xxx |
এলাকা কোড | ১ |
যানবাহন নিবন্ধন | ০৬ |
জিডিপি (প্রান্তিক) | ২০২১[7] |
- মোট | ইউএস$ ৭৪.৮৩ বিলিয়ন |
- মাথা পিছু | ইউএস$ ১৩,০২০ |
এইচডিআই (২০১৮) | ০.৮৫৫[8] – খুব উচ্চ |
ওয়েবসাইট | www www |
গালাতিয়ার প্রাচীন সেল্টিক রাজ্যে (২৮০–৬৪ খ্রিস্টপূর্বাব্দ), ও পরবর্তীতে একই নামের রোমান প্রদেশের (২৫ খ্রিস্টপূর্ব–৭ম শতাব্দী) রাজধানী হিসেবে শাসিত এই শহর অনেক পুরানো যেখানে বিভিন্ন হাট্টীয়, হিট্টীয়, লিডীয়, ফ্রিজীয়, গালাতীয়, গ্রিক, পারসিক, রোমান, বাইজেন্টাইন ও উসমানীয় প্রত্নতাত্ত্বিক স্থান রয়েছে। শহরটিকে প্রথমে উসমানীয়রা আনাতোলিয়া এয়ালেত (১৩৯৩–১৫শ শতাব্দীর শেষের দিকে) এবং তারপর আঙ্কারা এয়ালেত (১৮২৭–১৮৬৪) ও আঙ্কারা ভিলায়েতের (১৮৬৭-১৯২২) রাজধানী করে তোলে। আঙ্কারার ঐতিহাসিক কেন্দ্র হলো একটি পাথুরে পাহাড়, এটি ১৫০ মিটার (৫০০ ফুট) উঁচু সাকারিয়া নদীর একটি উপনদী আঙ্কারা নদীর বাম তীরের উপরে অবস্থিত। পাহাড়টি আঙ্কারা কেল্লার ধ্বংসাবশেষের অবশেষ দ্বারা সাজানো। এর কিছু বহির্ভাগ টিকে থাকলেও শহর জুড়ে রোমান ও উসমানীয় স্থাপত্যের সুসংরক্ষিত উদাহরণ রয়েছে, সেগুলোর মধ্যে সবচেয়ে উল্লেখযোগ্য হলো মনুমেন্টাম আঞ্চিরানামকে তুলে ধরা ২০ খ্রিস্টপূর্বাব্দের রোমের অগাস্টাসের মন্দির, এর শিলালিপিতে রেস গেস্টাই ডিভি অউগুস্তি লেখা আছে।[14]
২৩ এপ্রিল ১৯২০-এ আঙ্কারায় তুরস্কের মহান জাতীয় সভা প্রতিষ্ঠিত হয়, এটি তুর্কি স্বাধীনতা যুদ্ধের সময় তুর্কি জাতীয় আন্দোলনের সদর দপ্তরে পরিণত হয়েছিলো। উসমানীয় সাম্রাজ্যের পতনের পর তুর্কি রাজধানী হিসেবে প্রাক্তন ইস্তাম্বুলের ভূমিকায় সফল হয়ে ২৯ অক্টোবর ১৯২৩ সালে প্রজাতন্ত্র প্রতিষ্ঠার পর আঙ্কারা নতুন তুর্কি রাজধানী হয়ে ওঠে। সরকার এর একটি বিশিষ্ট নিয়োগকর্তা হলেও আঙ্কারা তুরস্কের সড়ক ও রেলওয়ে নেটওয়ার্কের কেন্দ্রে অবস্থিত একটি গুরুত্বপূর্ণ বাণিজ্যিক ও শিল্প শহর। অ্যাঙ্গোরা খরগোশ থেকে কাটা অ্যাঙ্গোরা উল, লম্বা কেশী অ্যাঙ্গোরা ছাগল (মোহায়ারের উৎস) ও অ্যাঙ্গোরা বিড়ালের নাম এই শহর থেকে এসেছে। এলাকাটি এর নাশপাতি, মধু ও মাস্কাট আঙ্গুরের জন্যও পরিচিত। তুরস্কের অন্যতম শুষ্ক অঞ্চলে অবস্থিত ও বেশিরভাগই স্তেপ গাছপালা দ্বারা বেষ্টিত (দক্ষিণ ঘেরের বনাঞ্চল ব্যতীত) হলেও প্রতিটি বাসিন্দার জন্য মাথাপিছু ৭২ বর্গমিটার (৭৭৫ বর্গফুট) সবুজ এলাকার পরিপ্রেক্ষিতে আঙ্কারা একটি সবুজ শহর হিসেবে বিবেচিত হতে পারে।[15]