অ্যাসবেসটস
From Wikipedia, the free encyclopedia
অ্যাসবেস্টস হল প্রাকৃতিকভাবে প্রাপ্ত ছয় সিলিকেট খনিজের একটি সেট যা তার সুবিধাজনক প্রাকৃতিক বৈশিষ্ট্যর কারণে বাণিজ্যিকভাবে ব্যবহৃত হয়। রেশম ও পশমের চারিত্রিক বৈশিষ্ঠের সঙ্গে এই খনিজের চারিত্রিক বৈশিষ্ঠের অনেক মিল দেখা যায়।
অ্যাসবেস্টস | |
---|---|
সাধারণ তথ্য | |
শ্রেণী | খনিজ |
রাসায়নিক সূত্র | Mg3Si2O5(OH)4 |
স্ত্রুনজ শ্রেণীবিভাগ | 09.ED.15 |
ডানা শ্রেণীবিভাগ | 71.01.02d.03 |
সনাক্তকরণ | |
পেষক ভর | ২৭৭.১১ গ্রাম |
বর্ণ | সবুজ, লাল, হলুদ, সাদা, নীল |
স্ফটিক রীতি | যেকোন আকারের |
স্ফটিক পদ্ধতি | Orthorhombic |
ফাটল | তন্তুময় |
কাঠিন্য মাত্রা | ২.৫ - ৩ |
ঔজ্জ্বল্য | রেশমি |
ডোরা বা বর্ণচ্ছটা | সাদা |
আলোকিক বৈশিষ্ট্য | Biaxial |
বায়ারফ্রিঞ্জেন্স | ০.০০৮ |
২ভি কোণ | ২০° থেকে ৬০° |
বিচ্ছুরণ | দূর্বল তন্তু |
অ্যাসবেস্টস আঁশের দীর্ঘায়িত শ্বসন ফুসফুসের ক্যান্সার, মেসোথেলিয়মা, এবং এসবেসটোসিস এর মত গুরুতর অসুস্থতার সৃষ্টি করতে পারে।[1][2] ইউরোপীয় ইউনিয়ন অ্যাসবেস্টসের সকল প্রকার নিষ্কাশন, উৎপাদন, প্রক্রিয়াকরণ ও ব্যবহার নিষিদ্ধ করেছে।
শব্দ শোষণ ক্ষমতা, গড় প্রসার্য শক্তি, অগ্নি, তাপ, তড়িৎ এবং রাসায়নিক ক্ষতি প্রতিরোধের ক্ষমতা এবং সাশ্রয়ী মূল্যের কারণে ১৯ শতাব্দীর শেষ দিকে অ্যাসবেস্টস নির্মাতা ও উৎপাদনকারীদের মধ্যে ক্রমবর্ধমানভাবে জনপ্রিয় হয়ে ওঠে। আগুন বা তাপ প্রতিরোধ ক্ষমতার কারণে এটি বৈদ্যুতিক এবং বিল্ডিং ইন্সুলেশন হিসাবে ব্যবহৃত হত।
চার হাজার বছরেরও আগে থেকেই খনি থেকে এসবেস্টস আহরণ করা হত তবে ১৯ শতকের পর থেকে বড় আকারে উত্তোলন শুরু হয়। কানাডার ক্যুবেক প্রদেশের অ্যাসবেস্টস শহরের জেফ্রি খনি বিশ্বের অন্যতম বৃহত্তম অ্যাসবেস্টস খনি ছিল।[3]