অ্যালিস (লুইস ক্যারলের চরিত্র)
From Wikipedia, the free encyclopedia
লুইস ক্যারলের লেখা অ্যালিস' অ্যাডভেঞ্চার্স ইন ওয়ান্ডারল্যান্ড (১৮৬৫) এবং থ্রু দ্য লুকিং গ্লাস (১৮৭১) নামক দুটি শিশু উপন্যাসের কেন্দ্রীয় চরিত্র হল অ্যালিস।
এই নিবন্ধটির রচনা সংশোধনের প্রয়োজন হতে পারে। কারণ ব্যাকরণ, রচনাশৈলী, বানান বা বর্ণনাভঙ্গিগত সমস্যা রয়েছে। |
প্রথম বইটিতে মধ্য-ভিক্টোরীয় সময়কালে অ্যালিস নামে একটি বাচ্চা মেয়ের আকস্মিকভাবে একটি খরগোসের গর্তে পড়ে গিয়ে, আজবদেশে পৌঁছে সেখানে তার দুঃসাহসিক কাহিনি বর্ণিত হয়েছে। দ্বিতীয় বইটিতেও তার একটি দুঃসাহসিক কাহিনি বর্ণিত হয়েছে, সেখানে সে একটি আয়নার মধ্য দিয়ে ভিন্ন জগতে প্রবেশ করে। দ্য আইসিস-এ ক্যারোল, তার বন্ধু রবিনসন ডাকওয়ার্থের সাথে বিভিন্ন সময়ে নৌকাভ্রমণকালে লিডেল বোনেদের মনোরঞ্জনের জন্য যেসব গল্প বলেছিলেন, সেখান থেকেই অ্যালিস নামক চরিত্রটির জন্ম হয়েছিল। অবশ্য চরিত্রটির নামের সঙ্গে অ্যালিস লিডেল-এর নামের মিল থাকলেও সাহিত্যিকরা কাহিনিগুলোকে লিডেল-এর ওপর ভিত্তি করে রচিত বলে মানেন না। ক্যারলের স্নেহময়ী, নম্র, সভ্য, বিশ্বাসী এবং অদম্য কৌতূহলী অ্যালিসকে[1] অনেকসময় চতুর ও কর্তৃত্বের প্রতি সন্দেহপ্রবণ হিসেবে দেখা গেছে। যদিও বহু ব্যাখ্যাকার তার ব্যক্তিত্বে অনেক দোষও খুঁজে পেয়েছেন। অ্যালিস’ অ্যাডভেঞ্চার ইন ওয়ান্ডারল্যান্ড-এর প্রথম খসড়া অ্যালিস’ অ্যাডভেঞ্চার্স ইন আন্ডারগ্রাউন্ড-এ তার বাহ্যিক রুপের যা বিবরণ ছিল, অ্যালিস-এর দুটো বইতে রাজনৈতিক কার্টুনিস্ট জন টেনিয়েল-এর তুলির আঁচড়ে তা বদলে যায়।
অ্যালিসকে একটি সাংস্কৃতিক প্রতিভূ হিসেবে চিহ্নিত করা হয়ে থাকে। তার চরিত্রকে উনিশ শতকের প্রচলিত শিশু মুখ্য চরিত্রের অবসান হিসেবে ধরা হয়। অ্যালিসের দুটি অ্যাডভেঞ্চার গল্পের সাফল্যে উদ্বুদ্ধ হয়ে এই চরিত্রকে ভিত্তি করে বহু গল্প, ব্যঙ্গরচনা এবং অ্যালিসের মতো সমগোত্রীয় চরিত্রের ওপর ভিত্তি করে অনেক গল্প রচিত হয়েছে। তার চরিত্রকে নানা আঙ্গিকে বিশ্লেষণ করা হয়। এ ছাড়া অ্যালিস চরিত্রকে কেন্দ্র করে বহু চলচ্চিত্র নির্মিত হয়েছে, যার মধ্যে একটি হল ওয়াল্ট ডিজনির প্রভাবশালী চলচ্চিত্রটি (১৯৫১)।