![cover image](https://wikiwandv2-19431.kxcdn.com/_next/image?url=https://upload.wikimedia.org/wikipedia/commons/thumb/3/3c/Bouncing_ball_strobe_edit.jpg/640px-Bouncing_ball_strobe_edit.jpg&w=640&q=50)
অস্থিতিস্থাপক সংঘর্ষ
From Wikipedia, the free encyclopedia
অস্থিতিস্থাপক সংঘর্ষ হল স্থিতিস্থাপক সংঘর্ষের বিপরীত, এমন একটি সংঘর্ষ যেখানে অভ্যন্তরীণ ঘর্ষণের কারণে গতিশক্তি সংরক্ষিত হয় না ।
![Thumb image](http://upload.wikimedia.org/wikipedia/commons/thumb/3/3c/Bouncing_ball_strobe_edit.jpg/640px-Bouncing_ball_strobe_edit.jpg)
একটু বড় (ম্যাক্রোস্কোপিক) বস্তুর সংঘর্ষে, কিছু পরিমান গতিশক্তি পরমাণুর স্পন্দন শক্তিতে রূপান্তরিত হয়। এর ফলে তাপ সৃষ্টি হয় এবং বস্তুগুলি বিকৃত হয়।
গ্যাস বা তরলের অণুগুলি খুব কমই পুরোপুরি স্থিতিস্থাপক সংঘর্ষের মধ্যে দিয়ে যায় কারণ প্রতিটি সংঘর্ষের সঙ্গে অণুগুলির চলন গতি এবং তাদের অভ্যন্তরীণ স্বাধীনতার মাত্রার মধ্যে গতিশক্তির বিনিময় হয়। যে কোনও তাৎক্ষণিক সময়ে, অর্ধেক সংঘর্ষই অস্থিতিস্থাপক সংঘর্ষ, (সংঘর্ষের পরে দুজনের চলন গতিতে মোট গতিশক্তি কম থাকে), এবং বাকি অর্ধেককে "অতি-স্থিতিস্থাপক" হিসাবে বর্ণনা করা যেতে পারে (সংঘর্ষের পরে আগের তুলনায় বেশি গতিশক্তি থাকে)। পুরো নমুনা জুড়ে গড় হিসেব করলে, আণবিক সংঘর্ষগুলি মূলত স্থিতিস্থাপক হিসাবে বিবেচিত হতে পারে।[1]
যদিও অস্থিতিস্থাপক সংঘর্ষে গতিশক্তি সংরক্ষিত হয় না, তবে তারা ভরবেগ সংরক্ষণ কে মান্য করে।[2] সরল ক্ষেপণ দোলন সংঘটনে, কেবলমাত্র যখন দোলনটি তার বৃহত্তম কোণে চলে যায়, তখন গতিশক্তি সংরক্ষিত হয়।
নিউক্লীয় পদার্থবিজ্ঞানে, যখন প্রবেশমান অতিপারমাণবিক কণা, যে নিউক্লিয়াসটিকে আঘাত করে, সেটি উত্তেজিত হয় বা ভেঙে যায়, তখন সেই সংঘর্ষকে অস্থিতিস্থাপক সংঘর্ষ বলা হয়। গভীর অস্থিতিস্থাপক বিক্ষেপ হল অতিপারমাণবিক কণার গঠন পরীক্ষা করার একটি পদ্ধতি। যেভাবে রাদারফোর্ড পরমাণুর অভ্যন্তরে পরীক্ষা করেছিলেন (দেখুন রাদারফোর্ড বিক্ষেপ) প্রায় একই ভাবে এটি করা হয়। ১৯৬০ এর দশকের শেষদিকে স্ল্যাক ন্যাশনাল অ্যাক্সেলারেটর ল্যাবরেটরি (এসএলএসি) তে উচ্চ-শক্তি ইলেকট্রন ব্যবহার করে প্রোটনে এই জাতীয় পরীক্ষা করা হয়েছিল। যেমন রাদারফোর্ড বিক্ষেপে, প্রোটন দিয়ে ইলেকট্রনের গভীর অস্থিতিস্থাপক বিক্ষেপ করে দেখা গিয়েছিল যে, বেশিরভাগ আপতিত ইলেকট্রন খুব কম প্রতিক্রিয়া ঘটায় এবং সরাসরি চলে যায়, কেবল খুব অল্প সংখ্যক ধাক্কা খেয়ে ফিরে আসে। এর থেকে বোঝা যায় যে প্রোটনের আধান ছোট পিণ্ডের মধ্যে ঘনীভূত থাকে, রাদারফোর্ডের আবিষ্কার স্মরণ করিয়ে দেয় যে পরমাণুর ধনাত্মক আধান নিউক্লিয়াসের মধ্যে কেন্দ্রীভূত হয়ে থাকে। তবে প্রোটনের ক্ষেত্রে, প্রামাণিক তথ্য থেকে মনে হয় তিনটি স্বতন্ত্র ঘনত্বে আধান (কোয়ার্ক) থাকে, একটিমাত্রতে নয়।