অশনাক্ত উড়ন্ত বস্তু
আকাশে দৃশ্যমান কোনো অজানা বস্তু / From Wikipedia, the free encyclopedia
অশনাক্ত উড়ন্ত বস্তু বা সংক্ষেপে অউব (ইংরেজি: Unidentified Flying Object or, UFO), এমন একটি উড়ন্ত বস্তু যা সেটির প্রত্যক্ষদর্শী দ্বারা এবং তদন্ত করার পরেও শনাক্ত করা যায় না। সহজ ভাষায়, আকাশে দৃশ্যমান যে কোনো অচেনা-অজানা বস্তু বা আলোকেই ইউএফও বলা হয়। এই সংজ্ঞা অনুসারে, এটিকে একটি ইউএফও বিমান হিসেবে শ্রেণীভুক্ত করা যায়, যে এটি এর পরিচয় দেওয়ার পূর্বেই বিমান নিয়ন্ত্রণকারী রাডার গুলোতে হঠাৎ আবির্ভূত হতে দেখতে পাওয়া যায়। যাইহোক, সাধারণ ভাষায় ও কল্পনায় অশনাক্ত উড়ন্ত বস্তু বলতে বুঝায় ভিনগ্রহ হতে আগত বুদ্ধিমান জীব। উড়ন্ত পিরিচ বা প্লেট হিসেবেও ১৯৪০-১৯৯০ এর দশকগুলোতে এই বিষয়টি খুব জনপ্রিয় হয়ে উঠে ছিল। কারণ যে সব অশনাক্ত উড়ন্ত বস্তু আকাশে দেখতে পাওয়া যেত তার বেশির ভাগ উড়ন্ত বস্তুগুলো পিরিচ বা প্লেটের আকৃতির হয়ে থাকতো। অশনাক্ত উড়ন্ত বস্তুর বিষয় নিয়ে বৈজ্ঞানিক গবেষণাকে ইউফোবিদ্যা এবং যারা এসব নিয়ে গবেষণা করেন তাদের ইউফোলজিস্ট বলা হয়।
কতিপয় ইউফোলোজিস্টদের মতে, ইউএফও বলতে আকাশ বা মহাশূন্যের পর্যবেক্ষকরা যেসব অপ্রাকৃতিক বা অজানা বস্তু দেখা পায় সেগুলোই হলো ইউএফও। এগুলোকে কোনো কর্তৃপক্ষ বা বিশ্লেষক কৃত্রিম বস্তু (উদাহরণস্বরূপ, কৃত্রিম উপগ্রহ, যানবাহন, বেলুন) অথবা প্রাকৃতিক বস্তু (যেমন: উল্কা, গ্রহ, উল্কা বৃষ্টি, প্রাকৃতিক কারণ ইত্যাদি) হিসাবে চিহ্নিত করতে সক্ষম হয়েছিল। আর যে অশনাক্ত উড়ন্ত বস্তু বা ইউএফওগুলো সমুদ্রপৃষ্ঠের উপর দেখতে পাওয়া যায় তাকে অশনাক্ত ভাসমান বস্তু বা ইউএসও (Unidentified Submerged Objects or, USO) বলা হয়। যদিও পূর্বে এমন বস্তু দেখা গেছে বলে প্রমাণ পাওয়া গিয়েছে। কিন্তু দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পর পরেই ১৯৪৭ সালের ২৪ জুন ইউএফও জন্ম ধরা হয়। সাধারণত এটিকে বৈজ্ঞানিক বিশ্বে একটি ছদ্মবিজ্ঞানের দ্বারা গণ্য করা হয়। সাম্প্রতিক বছরে, ইউএফও–এর দুটি গুরুত্বপূর্ণ প্রকৃত জাদুঘর বানানো হয়েছে। একটি হলো নিউ মেক্সিকোর রজওয়েলের আন্তর্জাতিক ইউএফও জাদুঘর এবং অপরটি হলো এর শাখা ইস্তাম্বুলে।