অলিম্পিক ক্রীড়া প্রতিযোগিতা
আন্তর্জাতিক ক্রীড়া প্রতিযোগিতা / From Wikipedia, the free encyclopedia
আধুনিক অলিম্পিক ক্রীড়া প্রতিযোগিতা বা অলিম্পিক গেমস (ইংরেজি: Olympic Games ফরাসি: Jeux olympiques)[1][2] হলো একটি আন্তর্জাতিক ক্রীড়া প্রতিযোগিতা যেখানে গ্রীষ্মকালীন এবং শীতকালীন অনুষ্ঠানে বিভিন্ন দেশের প্রতিযোগীরা বিভিন্ন ধরনের খেলায় অংশগ্রহণ করে। দুইশতাধিক দেশের অংশগ্রহণে মুখরিত এই অলিম্পিক গেমস বিশ্বের সর্ববৃহৎ এবং সর্বোচ্চ সম্মানজনক প্রতিযোগিতা হিসেবে বিবেচিত হয়ে থাকে।[3] অলিম্পিক গেমস প্রত্যেক চার বছর পর পর অনুষ্ঠিত হয়ে থাকে। এর দুটো প্রকরণ গ্রীষ্ম এবং শীতকালীন প্রতিযোগিতা প্রত্যেক দুই বছর পর পর হয়ে থাকে, যার অর্থ দাঁড়ায় প্রায় প্রত্যেক দুই বছর পর পর অলিম্পিক গেমসের আসর অনুষ্ঠিত হয়। খ্রীষ্টপূর্ব অষ্টম শতাব্দিতে প্রাচীন গ্রীসের অলিম্পিয়া থেকে শুরু হওয়া প্রাচীন অলিম্পিক গেমস থেকেই মূলত আধুনিক অলিম্পিক গেমসের ধারণা জন্মে। ১৮৯৪ সালে ব্যারন পিয়ের দ্য কুবেরত্যাঁ সর্বপ্রথম আন্তর্জাতিক অলিম্পিক কমিটি (আইওসি) গঠন করেন। এই আইওসি-ই অলিম্পিক গেমস সংক্রান্ত সকল কার্যকলাপ নিয়ন্ত্রণ করে থাকে।
এই নিবন্ধটির রচনা সংশোধনের প্রয়োজন হতে পারে। কারণ ব্যাকরণ, রচনাশৈলী, বানান বা বর্ণনাভঙ্গিগত সমস্যা রয়েছে। |
অলিম্পিক আন্দোলন থেকেই বিংশ এবং একবিংশ শতাব্দিতে অলিম্পিক গেমসে অনেক ধরনের পরিবর্তন এসেছে। এই পরিবর্তনগুলোর অন্যতম হল শীতকালীন অলিম্পিকের প্রচলন, প্রতিবন্ধীদের জন্য প্যারা অলিম্পিক এবং কিশোর ক্রীড়াবিদদের জন্য যুব অলিম্পিক গেমস। এইসব পরিবর্তনকে সার্থক করার জন্য আইওসিকে অনেক ধরনের অর্থনৈতিক, রাজনৈতিক এবং কারিগরি দক্ষতা অর্জন করতে হয়েছে। ফলত পিয়ের দ্য কুবারত্যোঁর অপেশাদারি ধারণা থেকে সরে এসে পেশাদার ক্রীড়াবিদদের এই প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণের সুযোগ তৈরী হয়। প্রথম বিশ্বযুদ্ধ এবং দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সময় এই প্রতিযোগিতা বন্ধ ছিল এবং স্নায়ুযুদ্ধের সময় এই প্রতিযোগিতা সীমিত পরিসরে অনুষ্ঠিত হয়।
অলিম্পিক গেমস ইন্টারন্যাশনাল স্পোর্টস ফেডারেশন, জাতীয় অলিম্পিক কমিটি এবং প্রত্যেক আসরের জন্য নির্দিষ্ট কমিটির সমন্বয়ে অনুষ্ঠিত হয়। প্রত্যেক আসরের জন্য আয়োজক দেশ নির্বাচনের ক্ষমতা আইওসি সংরক্ষণ করে। অলিম্পিক সনদ অনুযায়ী আয়োজক দেশ এই গেমস আয়োজনের খরচ বহন করবে এবং তহবিল সংগ্রহ করবে। তবে অলিম্পিক গেমসের ক্রীড়া অনুষ্ঠান সংক্রান্ত সকল সিদ্ধান্ত আইওসি গ্রহণ করে। ক্রীড়া প্রতিযোগিতা ছাড়াও অলিম্পিক গেমসে আরও অন্যান্য আচার ও রীতি-রেওয়াজের প্রচলন রয়েছে যেমন অলিম্পিক মশাল, পতাকা, উদ্বোধনী এবং সমাপনি অনুষ্ঠান ইত্যাদি। গ্রীষ্ম এবং শীতকালীন অলিম্পিকে ৩৩ টি ক্রীড়ার ৪০০ টি বিভাগে প্রায় ১৩,০০০ ক্রীড়াবিদ অংশগ্রহণ করে থাকেন। প্রত্যেক বিভাগের প্রথম, দ্বিতীয় এবং তৃতীয় স্থানাধিকারী ক্রীড়াবিদদের যথাক্রমে স্বর্ণ, রৌপ্য এবং ব্রোঞ্জের পদক দেওয়া হয়।
কালের আবর্তনে অলিম্পিক গেমস এমন একটি অবস্থানে পৌঁছে গেছে যে আজ প্রায় প্রত্যেকটি দেশই এই প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণ করে। ফলে বছর বছর বর্জন, মাদক, ঘুষ এবং সন্ত্রাসবাদী তৎপরতার মত নানা ধরনের বিতর্কের সৃষ্টি হয়েছে। প্রতি দুই বছরে অলিম্পিক ও তৎসংশ্লিষ্ট প্রচার একজন অখ্যাত ক্রীড়াবিদকে রাতারাতি জাতীয় এমনকি আন্তর্জাতিক খ্যাতির সুযোগ এনে দেয়। অলিম্পিক গেমস আয়োজনকারী দেশও এই ধরনের অনুষ্ঠান আয়োজন করে সারা বিশ্বে নিজেকে প্রকাশ করার একটি সুযোগ পায