![cover image](https://wikiwandv2-19431.kxcdn.com/_next/image?url=https://upload.wikimedia.org/wikipedia/commons/thumb/1/19/Black_body.svg/langbn-640px-Black_body.svg.png&w=640&q=50)
অতিবেগুনী বিপর্যয়
From Wikipedia, the free encyclopedia
অতিবেগুনী বিপর্যয় বা আলট্রাভায়োলেট ক্যাটাস্ট্রফি (যা র্যালে-জিন্স ক্যাটাস্ট্রফি নামেও পরিচিত) হল উনিশ শতকের শেষ দিকে বা বিশ শতকের প্রথম দিককার ক্ল্যাসিকাল পদার্থবিজ্ঞানের একটি ঘটনা। ক্ল্যাসিকাল পদার্থবিজ্ঞান মতে আদর্শ কৃষ্ণবস্তু তাপীয় সাম্যাবস্থায় থেকে সকল কম্পাঙ্কের বিকিরণ ঘটায় এবং কম্পাঙ্ক বৃদ্ধির সাথে সাথে শক্তির বিকিরণ বৃদ্ধি পায়। মোট বিকিরিত শক্তি পরিমাপ করে দেখানো যায় যে কৃষ্ণবস্তু অসীম পরিমাণ শক্তির নির্গমন ঘটাবে যা কিনা শক্তির নিত্যতার নীতির সুস্পষ্ট লঙ্ঘন। তখনই এ সম্পর্কিত নতুন কোনো তত্ত্বের প্রয়োজনীয়তা অনুভূত হয়।
![Thumb image](http://upload.wikimedia.org/wikipedia/commons/thumb/1/19/Black_body.svg/320px-Black_body.svg.png)
১৯১১ সালে পল হেরেনফেস্ট সর্বপ্রথম "আলট্রাভায়োলেট ক্যাটাস্ট্রফি" শব্দদ্বয় ব্যবহার করেন, তবে মূলত ১৯০০ সালের দিকে র্যালে-জিনস সূত্র আবিষ্কারের সময়ই এ ধারণার উৎপত্তি হয়। ১০৫ গিগাহার্জের চেয়ে কম বিকিরিত কম্পাঙ্কের মধ্যের সবধরনের পরীক্ষামূলক ফলাফলের ব্যাখ্যা এ সূত্র নিখুঁতভাবে দিতে পারলেও এ সীমার বাইরের পরীক্ষামূলক ব্যাখ্যার ফলাফল দিতে এ সূত্র ব্যর্থ হয়। তখন তাত্ত্বিক আর পরীক্ষামূলক ফলাফল ভিন্ন হয়ে পড়ে। এই ভিন্নতার সৃষ্টি তড়িতচুম্বকীয় বর্ণালীর অতিবেগুনী রশ্মির সীমা থেকে শুরু হওয়ায় এ ঘটনাকে "অতিবেগুনী বিপর্যয়" বলে অভিহিত করা হয়।[1] এ শব্দগুচ্ছের প্রথম ব্যবহারের পর প্রায় একই ধরনের আরেক ঘটনার ক্ষেত্রেও এই শব্দগুচ্ছ ব্যবহার করা হয়, যেমন কোয়ান্টাম ইলেকট্রোডায়নামিক্সে বা অতিবেগুনী ডাইভারজেন্সে।