অডিও সহ আধ্বব ব্যঞ্জনধ্বনি ছক
From Wikipedia, the free encyclopedia
আন্তর্জাতিক ধ্বনিমূলক বর্ণমালা (সংক্ষেপে আ-ধ্ব-ব) বা আন্তর্জাতিক ধ্বনিলিপি হচ্ছে একটি আন্তর্জাতিক ধ্বনিভিক্তিক প্রতিবর্ণীকরণ পদ্ধতি যা আন্তর্জাতিক ধ্বনিবিজ্ঞান সংগঠন বিশ্বের সব কথিত ভাষার সব ধ্বনিকে প্রমিতভাবে তুলে ধরার জন্য ঊনবিংশ শতকের শেষ দিকে সৃষ্টি করেছিল। এটি আন্তর্জাতিক ফোনেটিক অ্যাসোসিয়েশন দ্বারা কথ্য ভাষার শব্দগুলির মানসম্পন্ন উপস্থাপনা হিসাবে তৈরি হয়েছিল।[1]
![](http://upload.wikimedia.org/wikipedia/commons/thumb/9/94/Gnome-speakernotes.svg/40px-Gnome-speakernotes.svg.png)
যেসব ব্যঞ্জনধ্বনি উচ্চারণকালে ফুসফুসের চাপের কারণে বহির্গামী বায়ুপ্রবাহ সৃষ্টি হয় সেগুলোকে ফুসফুসনির্গত ব্যঞ্জনধ্বনি বলা হয়। বায়ু ফুসফুস থেকে তিনটি পথ দিয়ে বের হতে পারে: নাসিক পথে, কেন্দ্রিক পথে, বা পার্শ্বিক পথে। পৃথিবীর ভাষাসমূহে, এবং আন্তর্জাতিক ধ্বনিমূলক বর্ণমালায়, বেশিরভাগ ব্যঞ্জনধ্বনিই এই ধরনের ব্যঞ্জনধ্বনি। বাংলার সমস্ত ব্যঞ্জনধ্বনি এই শ্রেণীর অন্তর্গত।
ফুসফুসনির্গত ব্যঞ্জনধ্বনি ছকে অনুভূমিকভাবে ব্যঞ্জনধ্বনির উচ্চারণের স্থান, অর্থাৎ শ্বাসবায়ু বাগ্যন্ত্রের যে অংশে বাধা পায়, এবং উল্লম্বভাবে বাধার প্রকৃতি অনুযায়ী সাজান। উচ্চারণ স্থান অনুযায়ী ছকের শ্রেণিবিভাগগুলি হল উভয়ৌষ্ঠ্য, দন্তৌষ্ঠ্য, দন্ত্য, দন্তমূলীয়, পশ্চাদ্দন্তমূলীয়, মূর্ধন্য, তালব্য, পশ্চাত্তালব্য, অলিজিহ্ব্য, গলনালীয়, কন্ঠনালীয়। বাধার প্রকৃতি অনুযায়ী ছকের শ্রেণিবিভাগগুলি হল স্পর্শ, নাসিক্য, কম্পিত, তাড়িত, উষ্ম, পার্শ্বিক উষ্ম, নৈকট্যক এবং পার্শ্বিক নৈকট্যক।
আন্তর্জাতিক ধ্বনিবিজ্ঞান সংগঠন আ-ধ্ব-বর যে ছক প্রকাশ করে সেই ছকে জায়গার অভাবে ব্যঞ্জনধ্বনির সব দিক তুলে ধরা যায় না। আমরা যদি বাগ্যন্ত্র এবং তার অঙ্গগুলির পারস্পরিক সম্পর্ক পর্যবেক্ষেণ করি তাহলে দেখব যে আ-ধ্ব-ব ছকে উচ্চারণ স্থান অনুযায়ী আরও একটি শ্রেণী অন্তর্ভুক্ত করা যেতে পারে, অধিজিহ্ব্য ব্যঞ্জনধ্বনি। একইভাবে উচ্চারণ রীতি অনুযায়ী আরও তিনটি শ্রেণী অন্তর্ভুক্ত করা যেতে পারে, উষ্ম ধ্বনিকে বিভক্ত করে শিশ-উষ্ম ব্যঞ্জনধ্বনি এবং অশিশ-উষ্ম ব্যঞ্জনধ্বনি, এবং পার্শ্বিক তাড়িত ব্যঞ্জনধ্বনি।
নিচে আন্তর্জাতিক ধ্বনিমূলক বর্ণমালার মূল ছকটির ফুসফুসনির্গত ব্যঞ্জনধ্বনির সারণিটি অ সহকারে অডিওসহ বর্ধিত আকারে দেওয়া হল।