পূর্ব তুর্কিস্তান স্বাধীনতা আন্দোলন
উইঘুরদের স্বাধীনতা আন্দোলন / From Wikipedia, the free encyclopedia
পূর্ব তুর্কেস্তান স্বাধীনতা আন্দোলন, বা জিংজিয়াং (শিনচিয়াং) স্বাধীনতা আন্দোলন অথবা উইঘুর স্বাধীনতা আন্দোলন এমন একটি রাজনৈতিক ও সামাজিক আন্দোলন যার প্রধান লক্ষ্য চীনের শিংচিয়াং স্বায়ত্তশাসিত অঞ্চলকে উইঘুর জাতির জন্য এক স্বাধীন দেশে পরিণত করা যার নাম হবে "পূর্ব তুর্কেস্তান"। ১৯৪৯ সালে গণচীন এই অঞ্চলটিকে চীনের শিংচিয়াং প্রদেশ বলে ঘোষণার পর থেকেই অঞ্চলটি চীনের নিয়ন্ত্রণে আছে।
উইঘুররা প্রধানত তারিম অববাহিকা এবং তাকলামাকান মরুভু্মির নানা মরুদ্দ্যানে বসবাসকারী তুর্কি বংশোদ্ভুত কৃষিজীবী মানুষ।কিছু উইঘুর উৎস মতে,তারা খ্রিস্টাব্দ নবম ও দশম শতক থেকেই ইসলাম ধর্মের অনুসারী।এসব উৎস এটাও দাবি করে যে উইঘুররা পূর্ব তুর্কেস্তানে ৪০০০ বছর ধরে বসবাস করে আসছে।এই দাবির পেছনে মূল ভিত্তি তথাকথিত "তারিম মমি" (এক ৩৮০০ বছরের পুরনো মমি) যা তারিম অববাহিকায় পাওয়া গিয়েছিল।
চীন,পূর্ব তুর্কেস্তান স্বাধীনতা আন্দোলনের পক্ষে যেকোন সমর্থনকে "জঙ্গীবাদ,সন্ত্রাসবাদ ও বিচ্ছিন্নতাবাদের" অংশ বলে মনে করে।বর্তমানে এই আন্দোলন যারা সমর্থন করে তাদের মধ্যে আছে সন্ত্রাসবাদী "তুর্কিস্তান ইসলামিক পার্টি" যা মধ্যপ্রাচ্যের বিভিন্ন জঙ্গী সংগঠনের (আইএস এবং আল কায়েদা সহ নানা সংগঠন) সাথে যুক্ত।যাইহোক, বর্তমানে 'বিশ্ব উইঘুর কংগ্রেসের' মত উইঘুর সমর্থক দলগুলোকেও (যাদের সাথে সন্ত্রাসবাদীদের যোগসাজশ পাওয়া যায় না) চীন সরকার "জঙ্গী সংগঠন" হিসেবে আখ্যা দিয়ে থাকে।
সম্প্রতি,চীনের বিরুদ্ধে শিনচিয়াং এর উইঘুরদের আটকে রাখা ও "পুনঃশিক্ষাদান" এর নামে উইঘুর সম্প্রদায়ের ধর্ম,সংস্কৃতি,ভাষা এবং পরিচিতিকে মুছে ফেলার অভিযোগ ওঠায় পূর্ব তুর্কেস্তানের স্বাধীনতা আন্দোলনের বিষয়টি আন্তর্জাতিক মহলে গুরুত্বের সাথে আলোচিত হচ্ছে।শিংজিয়াং (জিংজিয়াং) চীনের এমন একটি বহুজাতিক প্রদেশ যেখানে কোন একটি সম্প্রদায়কে সংখ্যাগরীষ্ঠ বলা যায় না।উইঘুররা এই প্রদেশের মোট জনসংখ্যার ৪৫%,যেখানে হান চাইনীজ (যারা সমগ্র চীনে সবচেয়ে বড় ভাষাভাষী সম্প্রদায়) এর সংখ্যা প্রায় ৪০%।