উর্দু সাহিত্য
From Wikipedia, the free encyclopedia
উর্দু ভারত ও পাকিস্তানের আধুনিক ইন্দো-আর্য ভাষাগুলির মধ্যে একটি। এটি উত্তর ভারতের অঞ্চলে মধ্যযুগীয় সময়ে বিকশিত হয়েছিল যা বর্তমানে পশ্চিম উত্তর প্রদেশ, দিল্লি এবং পূর্ব পাঞ্জাব অন্তর্ভুক্ত করে। এর ভিত্তি ছিল সেই প্রাকৃত ও অপভ্রংশ যাকে বলা হত 'শৌরাসেনী' এবং যেখান থেকে খড়িবলি, ব্রজভাষা, হরিয়ানবী ও পাঞ্জাবি ইত্যাদির জন্ম হয়েছিল। ভারতে মুসলমানদের আগমন এবং পাঞ্জাব ও দিল্লিতে বসতি স্থাপনের কারণে এই অঞ্চলের কথোপকথন ভাষার মধ্যে ফারসি ও আরবি শব্দও অন্তর্ভুক্ত হয় এবং ধীরে ধীরে তা আলাদা রূপ নেয়। মুসলমানদের রাষ্ট্র ও শাসন প্রতিষ্ঠার কারণে তাদের ধর্ম, নীতি, জীবনধারা ও আচার-আচরণের রঙ ওই ভাষায় প্রতিফলিত হওয়াও স্বাভাবিক ছিল। এইভাবে, এর বিকাশে এমন কিছু প্রবণতা অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছিল, যেগুলি তৎকালীন অন্যান্য ভারতীয় ভাষার প্রয়োজন ছিল না। খড়িবোলি পশ্চিম উত্তর প্রদেশ এবং দিল্লিতে কথোপকথনে ব্যবহৃত হত। তার ভিত্তিতে পরবর্তীকালে উর্দু ভাষার সাহিত্যিক রূপ নির্ধারণ করা হয়। এটি একটি দীর্ঘ সময় নিয়েছে, তাই দেশের অনেক জায়গায় সামান্য পার্থক্য সহ ভাষাটি নিজস্ব উপায়ে বিকশিত হয়েছিল।
এই নিবন্ধটিতে কোনো উৎস বা তথ্যসূত্র উদ্ধৃত করা হয়নি। |
এই নিবন্ধটির রচনা সংশোধনের প্রয়োজন হতে পারে। কারণ ব্যাকরণ, রচনাশৈলী, বানান বা বর্ণনাভঙ্গিগত সমস্যা রয়েছে। |
এই নিবন্ধটি উইকিপিডিয়ার জন্য মানসম্মত অবস্থায় আনতে পুনর্লিখন করা প্রয়োজন। |
উর্দু ভাষার মূল ভিত্তি খারিবোলি, তবে অন্যান্য অঞ্চলের উপভাষাগুলিও এটিকে প্রভাবিত করেছিল। তাই হতেই হয়েছিল, কারণ শুরুতে এটা বাজারের লোকেদের দ্বারা বা সেইসব সুফি-ফকিরদের দ্বারা উচ্চারিত হয়েছিল যারা দেশের বিভিন্ন প্রান্তে ঘুরে ঘুরে তাদের মতবাদ প্রচার করতেন। এ কারণে এই ভাষার অনেক নাম ব্যবহার করা হয়েছে। আমীর খুসরো একে "হিন্দি", "হিন্দাউই" বা "জাবানে দেহলভী" বলে অভিহিত করেন; যখন এটি দক্ষিণে পৌঁছেছিল, তখন একে "ডাকিনি" বা "দখিনী" বলা হত, গুজরাটে একে "গুজরি" (গুজরাটি উর্দু) বলা হত; দক্ষিণের কিছু লেখক একে "জাবনে-আহলে-হিন্দুস্তান" (উত্তর ভারতের মানুষের ভাষা) বলেও অভিহিত করেছেন। যখন এই ভাষাটি কবিতা এবং বিশেষ করে গজলের জন্য ব্যবহৃত হতে শুরু করে, তখন একে "রেখতা" (মিশ্র উপভাষা) বলা হয়। পরে এটি "জাবানে উর্দু", "উর্দু-ই-মুয়াল্লা" বা সহজভাবে "উর্দু" নামে পরিচিত হয়। ইউরোপীয় লেখকরা সাধারণত এটিকে "হিন্দুস্তানি" বলে থাকেন এবং কিছু ইংরেজ লেখক এটিকে "মুজ" বলে সম্বোধনও করেছেন। এই বহু নাম এই ভাষার ঐতিহাসিক বিকাশকেও প্রভাবিত করে।