সহশিক্ষা পদ্ধতি
From Wikipedia, the free encyclopedia
সহশিক্ষা পদ্ধতি (সংক্ষেপে: কো –এড বা কোয়েড) হলো শিক্ষার একটি বিশেষ ব্যবস্থা যেখানে পুরুষ ও মহিলা একইসঙ্গে শিক্ষিত হয়। উভয় লিঙ্গের জন্য পৃথক ব্যবস্থা থাকে না। ১৯ শতক পর্যন্ত একক-লিঙ্গ শিক্ষা সাধারণভাবে সর্বত্রই প্রচলিত ছিল। সহশিক্ষা অনেক সংস্কৃতিতে, বিশেষেত পশ্চিমা বিশ্বে বর্তমানে প্রসিদ্ধ ও স্বাভাবিক পদ্ধতি হয়ে উঠেছে। তবে বহু মুসলিম দেশে এখনো একক–লিঙ্গ শিক্ষা পদ্ধতি প্রচলিত আছে, যা মুসলিম সংস্কৃতির সাথে সামঞ্জস্য রেখে বহাল রাখা হয়েছে। উভয় পদ্ধতির আপেক্ষিক যোগ্যতা একটি বিতর্কের বিষয় হয়ে দাঁড়িয়েছে।
বিশ্বের প্রাচীনতম সহ-শিক্ষামূলক স্কুলটি ইংল্যান্ড হাই স্কুলের আর্চবিশপ টেনিসনের চার্চ বলে মনে করা হয়, যা ১৭১৪ সালে যুক্তরাজ্যে প্রতিষ্ঠিত হয়। এটি খোলার পর থেকে ছেলে ও মেয়েদের একত্রে ভর্তি করা হয় [1] এবং এটি একটি দিনের স্কুল ছিল।
বিশ্বের প্রাচীনতম সহশিক্ষামূলক ডে এবং বোর্ডিং স্কুল হল ডলার একাডেমি, যা স্কটল্যান্ডে অবস্থিত এবং তা ৫ থেকে ১৮ বছর বয়সী পুরুষ এবং মহিলাদের জন্যে একটি জুনিয়র ও সিনিয়র স্কুল। ১৮১৮ সালে খোলার পর থেকে স্কুলটি ডলারের প্যারিশ এবং আশেপাশের এলাকার ছেলে এবং মেয়ে উভয়কেই ভর্তি করে। প্রায় ১,২৫০ জন ছাত্র-ছাত্রী নিয়ে এই বিদ্যালয়টি বর্তমানও বিদ্যমান রয়েছে। [2]
ওহাইও'র ওবার্লিনে অবস্থিত ওবারলিন কলেজিয়েট ইনস্টিটিউটটি প্রতিষ্ঠিত হওয়া প্রথম সহ-শিক্ষামূলক কলেজ। ২৯ জন পুরুষ ও ১৫ জন মহিলাসহ ৪৪ জন ছাত্র নিয়ে ১৮৩৩ সালের ৩ ডিসেম্বর এটি খোলা হয়। ১৮৩৭ সাল পর্যন্ত ছাত্রীদের জন্য সম্পূর্ণ সমান মর্যাদা আসেনি এবং ১৮৪০ সালে স্নাতক ডিগ্রীসহ স্নাতক হওয়া প্রথম তিনজন মহিলা তা সমান করেন। [3] বিংশ শতাব্দীর শেষে ভাগে উচ্চশিক্ষার অনেক প্রতিষ্ঠান, যা শুধুমাত্র পুরুষ বা মহিলাদের জন্য ছিল সহশিক্ষামূলক হয়ে ওঠে।