শিখ সাম্রাজ্য
ভারতীয় উপমহাদেশের সাম্রাজ্য (১৭৯৯-১৮৪৯) / From Wikipedia, the free encyclopedia
শিখ সাম্রাজ্য (শিখ খালসা রাজ, সরকার-ই-খালসা বা পাঞ্জাব সাম্রাজ্য) একটি প্রধান শক্তি ছিল ভারতীয় উপমহাদেশে। মহারাজা রঞ্জিত সিংয়ের নেতৃত্বে ধর্মনিরপেক্ষ সাম্রাজ্য প্রতিষ্ঠা করেছিলেন।[4] ১৭৯৯ সাল থেকে শিখ সাম্রাজ্য বিস্তার করতে শুরু করে, রণজিৎ সিংহ ১৮৪৯ খ্রিষ্টাব্দে লাহোর আক্রমণ করেছিলেন এবং শিখ মিসলসদের কাছ থেকে খালসা প্রতিষ্ঠার জন্য অনুমতি পেয়েছিলেন।[5][6] উনবিংশ শতাব্দীতে শিখ সাম্রাজ্য বিস্তার চরম শিখরে, পশ্চিমে খাইবার পাস থেকে পশ্চিম তিব্বত পর্যন্ত বিস্তৃত এবং দক্ষিণে মিঠানকোট থেকে উত্তর কাশ্মীর পর্যন্ত বিস্তৃত। শিখ সাম্রাজ্যের ধর্মীয় জনসংখ্যা ৩.৫ মিলিয়ন,তাদের মধ্যে মুসলিম(৭০%), শিখ(১৭%), হিন্দু(১৩%)ছিল।[7]
শিখ সাম্রাজ্য সরকার-ই-খালসা امپراطوری سیک ਸਿੱਖ ਖਾਲਸਾ ਰਾਜ | |||||||||||||
---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|
১৭৯৯–১৮৪৯ | |||||||||||||
জাতীয় সঙ্গীত: Deg Tegh Fateh | |||||||||||||
মহারাজা রঞ্জিত সিং এর শিখ সাম্রাজ্য ১৮৩৯ সাল | |||||||||||||
রাজধানী | লাহোর | ||||||||||||
প্রচলিত ভাষা | |||||||||||||
ধর্ম | শিখিস্ম | ||||||||||||
সরকার | ফেডারেল রাজতন্ত্র | ||||||||||||
মহারাজা | |||||||||||||
• ১৮০১-১৮৩৯ | রঞ্জিত সিং | ||||||||||||
• ১৮৩৯ | খরক সিং | ||||||||||||
• ১৮৩৯-১৮৪০ | নাহু নিহাল সিং | ||||||||||||
• ১৮৪০-১৮৪১ | চন্দু কাউর | ||||||||||||
• ১৮৪১-১৮৪৩ | শের সিং | ||||||||||||
• ১৮৪৩-১৮৪৯ | ডুলীপ সিং | ||||||||||||
ওয়াজির | |||||||||||||
• ১৭৯৯-১৮১৮ | জামাদর খুশাল সিং[2] | ||||||||||||
• ১৮১৮-১৮৪৩ | ধিন সিং ডোগরা | ||||||||||||
• ১৮৪৩-১৮৪৪ | হিরা সিং ডোগরা | ||||||||||||
• ১৮৪৪-১৮৪৫ | জহর সিং আলখ | ||||||||||||
• ৩১জানুয়ারি ১৮৪৬ - ৯মার্চ ১৮৪৬ | গুলাব সিং[3] | ||||||||||||
ঐতিহাসিক যুগ | প্রাথমিক আধুনিক যুগ | ||||||||||||
• শুরু রঞ্জিত সিং এর লাহোর আক্রমণ | ৭ জুলাই ১৭৯৯ | ||||||||||||
• শেষ দ্বিতীয় ইনগ-শিখ যুদ্ধ | ২৯ মার্চ ১৮৪৯ | ||||||||||||
আয়তন | |||||||||||||
৪,৯১,৪৬৩ বর্গকিলোমিটার (১,৮৯,৭৫৫ বর্গমাইল) | |||||||||||||
জনসংখ্যা | |||||||||||||
• | 3500000 | ||||||||||||
মুদ্রা | নানক শাহি রুপি | ||||||||||||
| |||||||||||||
বর্তমানে যার অংশ |
১৭০৭সালে শিখ সাম্রাজ্যের উত্থান শুরু হয় এবং মুঘল সম্রাট ওউরাঙ্গজেব এর মৃত্যুর ফলে মুঘল সাম্রাজ্যের পতন শুরু হয়। গুরু গোবিন্দ সিং দল খালসা নামে শিখ সেনাবাহিনী তৈরি করেন এবং পশ্চিমে আফগানদের বিরুদ্ধে অভিযান চালায়। এর ফলে সেনাবাহিনীর বৃদ্ধি ঘটেছিল,বিভিন্ন কনফিডেজেসিস বা আধা-স্বাধীন মিসলস বিভক্ত ছিল। এই উপাদান বাহিনী প্রতিটি বিভিন্ন এলাকায় এবং শহর নিয়ন্ত্রিত তবে,১৭৬২ থেকে ১৭৯৯ সালের মাঝামাঝি সময়ে,মিসলদের শিখর কমান্ডারা নিজেদের মধ্যে স্বাধীন যোদ্ধা হিসাবে আসেন বলে মনে হয়। রণজিৎ সিংয়ের নেতৃত্বে লাহোরের দখলের সাথে সাথে সাম্রাজ্য গঠন শুরু হয়। আফগান শাসক জামান শাহ দুরানি,আফগান থেকে পাঞ্জাব পরবর্তী এবং প্রগতিশীল বহিষ্কৃত হয়। আফগান-শিখ যুদ্ধে তাদের পরাজিত করে এবং পৃথক শিখ মিসলস গঠন করে। ১৮০১সালে ১২ এপ্রিল পাঞ্জাবের মহারাজা হিসাবে রণজিৎ সিংকে ঘোষণা করা হয় একক রাজনৈতিক রাষ্ট্র গড়ে তোলা জন্য কিন্তু সাহিব সিং বেদী, গুরু নানক এর বংশধর নীতি অনুযায়ী রাজ্যাভিষেক হয় নি।[8] রঞ্জিত সিং একমাত্র মিসল নেতা খুব অল্প সময়ের মধ্যে পাঞ্জাবের মহারাজা,ক্ষমতায় অধিষ্ঠিত হন। তিনি আধুনিক অস্ত্রসস্ত্র প্রশিক্ষণের দিয়ে তার সেনাবাহিনীকে আধুনিক করে তোলেন। রঞ্জিত সিংয়ের মৃত্যুর পর,সাম্রাজ্যের অভ্যন্তরীণ বিভাগ এবং রাজনৈতিক অব্যবস্থা দুর্বল হয়ে পড়েছিল। অবশেষে,১৮৪৯ খ্রিষ্টাব্দে অ্যাংলো-শিখ যুদ্ধে পরাজয়ের পর রাষ্ট্রটি বিভক্ত হয়ে যায়। শিখ সাম্রাজ্য(১৭৯৯-১৮৪৯)সালের পর চার প্রদেশে বিভক্ত হয় পাঞ্জাবের লাহোর,যা শিখদের রাজধানীতে পরিণত হয়েছিল,এছাড়া মুলতান পাঞ্জাবের মধ্যে,পেশোয়ার এবং কাশ্মীর।