লা লা ল্যান্ড
মার্কিন চলচ্চিত্র / From Wikipedia, the free encyclopedia
লা লা ল্যান্ড হল ২০১৬ সালের মার্কিন রোমান্টিক সংগীতধর্মী কৌতুকপূর্ণ নাট্য চলচ্চিত্র। যেটি রচনা এবং পরিচালনা করেছেন ড্যামিয়েন শ্যাজেল এবং এতে একজন জ্যাজ পিয়ানো বাদক এবং উঠতি নায়িকায় ভূমিকায় অভিনয় করেছেন রায়ান গসলিং ও এমা স্টোন। লস অ্যাঞ্জেলেসে তাদের পরস্পরের সাথে পরিচয় হয় এবং প্রেমে পড়ে। ছবির নাম দিয়ে লস অ্যাঞ্জেলেস শহরকে এবং বাগধারা বাস্তবতার স্পর্শের বাইরে উভয়ই বুঝানো হয়েছে।
লা লা ল্যান্ড | |
---|---|
পরিচালক | ড্যামিয়েন শ্যাজেল |
প্রযোজক |
|
রচয়িতা | ড্যামিয়েন শ্যাজেল |
শ্রেষ্ঠাংশে |
|
সুরকার | জাস্টিন হার্টিজ |
চিত্রগ্রাহক | লাইনাস স্যান্ডগ্রেন |
সম্পাদক | টম ক্রস |
প্রযোজনা কোম্পানি |
|
পরিবেশক | সামিট এন্টারটেইনমেন্ট |
মুক্তি | ৯ ই ডিসেম্বর ২০১৬ (যুক্তরাষ্ট্র) |
স্থিতিকাল | ১২৮ মিনিট [1] |
দেশ | যুক্তরাষ্ট্র |
ভাষা | ইংরেজি |
নির্মাণব্যয় | ৩০ মিলিয়ন মার্কিন ডলার[2] |
আয় | ৪১৬.৮ মিলিয়ন মার্কিন ডলার [3] |
শ্যাজেল ছবিটির চিত্রনাট্য লেখেন ২০১০ সালে কিন্তু তার গল্পভাবনা পরিবর্তন না করে ছবিটিকে অর্থায়ন করবে কোন স্টুডিও খুঁজে পাননি। ২০১৪ সালের তার চলচ্চিত্র হুইপল্যাশ এর সাফল্যের ফলে এই প্রকল্পটি নেয় সামিট এন্টারটেইনমেন্ট। ছবিটির চিত্রধারণ হয় ২০১৫ সালের আগস্ট থেকে সেপ্টেম্বর মাসে লস অ্যাঞ্জেলেসে। লা লা ল্যান্ড ছবিটির উদ্বোধনী প্রদর্শনী হয় ৭৩তম ভেনিস আন্তর্জাতিক চলচ্চিত্র উৎসবে ২০১৬ সালের ৩১শে আগস্ট এবং যুক্তরাষ্ট্রের প্রেক্ষাগৃহে ছবিটি মুক্তি পায় ২০১৬ সালে ৯ই ডিসেম্বর। মাত্র ৩০ মিলিয়ন মার্কিন ডলার বাজেটে নির্মিত ছবিটি সারা বিশ্বে প্রায় ৪১৬.৮ মিলিয়ন মার্কিন ডলার আয় করে।
লা লা ল্যান্ড ছবিটি মুক্তির পরপরই সমালোচক দ্বারা প্রশংসিত হয় এবং ২০১৬ সালে মুক্তি পাওয়া শ্রেষ্ঠ চলচ্চিত্রগুলোর একটি হিসাবে বিবেচনা করা হয়। সমালোচকগণ শ্যাজেলের চিত্রনাট্য এবং পরিচালনার, গসলিং এবং স্টোন এর অভিনয়, জাস্টিন হার্টিজের সংগীত পরিচালনা এবং চলচ্চিত্রে গানের প্রশংসা করেন। ছবিটি ৭৪তম গোল্ডেন গ্লোব পুরস্কারে মনোনীত সাতটি বিভাগেই পুরস্কার জিতে সর্বোচ্চ ও সকল বিভাগে পুরস্কার জিতার রেকর্ড ভেঙ্গেছিল, এটি ৭০তম ব্রিটিশ একাডেমি চলচ্চিত্র পুরস্কারে ১১টি বিভাগে মনোনয়ন লাভ করে এবং পাঁচটিতে পুরস্কার লাভ করে। ৮৯তম একাডেমি পুরস্কারে ছবিটি মোট ১৪টি মনোনয়ন লাভ করে ১৯৫০ সালের অল অ্যাবাউট ইভ এবং ১৯৯৭ সালের টাইটানিকের সাথে যৌথভাবে সবচেয়ে বেশি মনোনয়ন লাভের রেকর্ড গড়ে এবং সেরা পরিচালক, সেরা অভিনেত্রী, সেরা চিত্রগ্রহণ, সেরা মৌলিক সুর, সেরা মৌলিক গান (“সিটি অব স্টারস”), সেরা নির্মাণ পরিকল্পনার পুরস্কার জয় করে।