রবার্ট ডাউনি জুনিয়র
মার্কিন অভিনেতা / From Wikipedia, the free encyclopedia
রবার্ট জন ডাউনি জুনিয়র (ইংরেজি: Robert John Downey Jr.; জন্ম: ৪ এপ্রিল, ১৯৬৫)[1][2] বিংশ শতাব্দীর শেষপাদে আবির্ভূত একজন বিখ্যাত মার্কিন অভিনেতা, যিনি হলিউডের চলচ্চিত্র শিল্পে চার দশকেরও অধিক সময় ধরে প্রবল প্রতাপে অভিনয় করে চলেছেন।[3] ডাউনি ২০১২ থেকে ২০১৫ পর্যন্ত হলিউডের সর্বোচ্চ পারিশ্রমিক গ্রহণকারী তারকা হিসেবে ফোর্বস সাময়িকী তালিকায় শীর্ষস্থানে মর্যাদা পেয়েছেন।[4][5][6] কেবল জুন ২০১৪ হতে জুন ২০১৫ সালের মধ্যে আনুমানিক ৮০ মিলিয়ন মার্কিন ডলার আয় করেন তিনি।[7][8][9]
রবার্ট ডাউনি জুনিয়র | |
---|---|
জন্ম | রবার্ট জন ডাউনি জুনিয়র (1965-04-04) ৪ এপ্রিল ১৯৬৫ (বয়স ৫৯) |
জাতীয়তা | মার্কিন |
শিক্ষা | সান্তা মনিকা হাইস্কুল |
পেশা | অভিনেতা |
কর্মজীবন | ১৯৭০-বর্তমান |
দাম্পত্য সঙ্গী |
|
সন্তান | ৩ |
পিতা-মাতা | রবার্ট ডাউনি সিনিয়র এলসি অ্যান ফোর্ড |
রবার্ট ডাউনি জুনিয়র নিবন্ধের একটি ধারাবাহিক অংশ | |
---|---|
১৯৭০ সালে বাবার পরিচালিতপাউন্ড চলচ্চিত্রে মাত্র পাঁচ বছর বয়সে অভিনয়ের মধ্য দিয়ে চলচ্চিত্র জগতে ডাউনির আবির্ভাব হয়। তরুণ বয়সেই চলচ্চিত্রের সাথে তার সম্পৃক্ততা ঘটে দু:খ কল্পবিজ্ঞান কমেডিধর্মী উইয়ার্ড সায়েন্স (১৯৮৫) এবং লেস দ্যান জিরো (১৯৮৭) চলচ্চিত্রে। ১৯৯২ সালে চ্যাপলিন চলচ্চিত্রের মাধ্যমে তার পেশাদার অভিনয় জীবনের শুরু হয়। এই চলচ্চিত্রে কৌতুকাভিনেতা চার্লি চ্যাপলিনের ভূমিকায় অসাধারণ অভিনয়ের ফলে প্রথমবার তিনি শ্রেষ্ঠ অভিনেতার জন্য একাডেমি পুরস্কারে মনোনীত হন[10] এবং সেরা পার্শ্ব অভিনেতার জন্য বাফটা পুরস্কার অর্জন করেন।[11][12] ক্যালিফোর্নিয়ায় পদার্থ অপব্যবহার চিকিৎসা সুবিধা এবং রাজ্য প্রিসনে তিনি মাদকদ্রব্য সেবন অভিযোগে ছিলেন, ২০০০ সালে কারাগার থেকে মুক্তি লাভের এক সপ্তাহ পর ডাউনি টিভি সিরিজ এলী ম্যাক্বিলের প্রেম স্বার্থ অভিনয়ে যোগদান করেন। এর জন্য তিনি গোল্ডেন গ্লোব পুরস্কার লাভ করেন।[13] ২০০০ সালের পরবর্তী এবং ২০০১ সালের শুরুতে দু’দফা মাদকাসক্তির অভিযোগে গ্রেফতার হওয়ার কারণে ডাউনিকে ধারাবাহিক থেকে বাদ দেয়া হয়।[14]
২০০৭-এ রহস্য ও থ্রিলারধর্মী জোডিয়াক এবং ২০০৮-এ অ্যাকশন কমেডিধর্মী ট্রপিক থান্ডার চলচ্চিত্রদ্বয়ে অভিনয়ের মধ্য দিয়ে ডাউনির অভিনয়জীবন সম্ভাবনাময় হয়ে ওঠে। শেষোক্ত চলচ্চিত্রের জন্য তিনি ২০০৯ সালের সেরা পার্শ্ব অভিনেতা হিসেবে ৮১তম একাডেমি পুরস্কারের জন্য মনোনয়ন পান। ২০০৮-এর শুরু থেকে থেকে ২০১৩ পর্যন্ত ডাউনি মার্ভেল সিনেম্যাটিক ইউনিভার্সের মার্ভেল কমিকস কাল্পনিক সুপারহিরো আয়রন ম্যানের চরিত্রে তিনটি চলচ্চিত্রে ধারাবাহিকভাবে অভিনয় করেন যা সারা বিশ্বে আলোড়ন তৈরি করে ও তাকে আকাশচুম্বি জনপ্রিয় করে তোলে।[15][16] একটি পাঁচমিশেলি অভিনেতাদলের সদস্য, অথবা ছোটো ছোটো ক্যমিও চরিত্রের অভিনয় সহ তার আরো বেশ কয়েকটি চলচ্চিত্রে অভিনয়ের বিশেষ ভূমিকা প্রকাশমান রয়েছে।
ডাউনির অভিনীত প্রতিটি চলচ্চিত্র বক্স অফিসে বিশ্বব্যাপী ৫০০ মিলিয়ন মার্কিন ডলারেরও অধিক মুনাফা অর্জন করে থাকে। তন্মধ্যে উল্লেখযোগ্য চারটি চলচ্চিত্র হলো দ্য অ্যাভেঞ্জার্স, অ্যাভেঞ্জার্স: এজ অব আলট্রন, আয়রন ম্যান ৩ এবং ক্যাপ্টেন আমেরিকা: সিভিল ওয়ার —এদের প্রত্যেকটি ১ বিলিয়ন মার্কিন ডলারেরও অধিক মুনাফা অর্জন করেছে।[17][18][19][20][21] এছাড়াও মুখ্য চরিত্র হিসেবে ডাউনি জুনিয়র গাই রিচি পরিচালিত কাল্পনিক গোয়েন্দা ধারাবাহিক শার্লক হোমস (২০০৯) এবং এর সিকুয়্যাল (২০১১) চলচ্চিত্রে অভিনয় করেছেন।[22][23]
২০১৭ সালের হিসাব অনুযায়ী, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে ডাউনি জুনিয়রের ঘরোয়া চলচ্চিত্রের মোট মূল্য ৪.২ বিলিয়ন মার্কিন ডলারের ঊর্ধ্বে, এবং বিশ্বজুড়ে ৯.৬ বিলিয়ন মার্কিন ডলার ছাড়িয়ে গেছে, এটি ডাউনি জুনিয়রকে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সর্বকালের সেরা পঞ্চম উপার্জনকারী ঘরোয়া বক্স অফিসের তারকা বানিয়েছেন।[24]