মহাযান (/ˌmɑːhəˈjɑːnə/; সংস্কৃত: महायान /ˌməhɑːˈjɑːnə/; অর্থ: "মহৎ পন্থা") হল বৌদ্ধধর্মের প্রধান দুটি অধুনা প্রচলিত শাখাসম্প্রদায়ের অন্যতম (অপর সম্প্রদায়টির নাম থেরবাদ) এবং বৌদ্ধ দর্শন ও ধর্মানুশীলনের একটি বিশেষ ধারার পরিচায়ক পরিভাষা। এই সম্প্রদায় থেকে একাধিক উপশাখার উদ্ভব ঘটেছে। গোড়ার দিকে ভারতে মহাযান একটি ক্ষুদ্র সম্প্রদায় ছিল। কিন্তু পরবর্তীকালে এটি একটি দীর্ঘস্থায়ী ঐতিহাসিক গুরুত্ব অর্জন করে।[1] বৌদ্ধ বজ্রযান মতবাদটি কখনও কখনও মহাযান বৌদ্ধধর্মের একটি অংশ হিসাবে বিবেচিত হয়। তবে কয়েক জন গবেষকের মতে এটি সম্পূর্ণ পৃথক একটি শাখা।[2]
"মহাযান" বলতে সকল চেতন সত্ত্বার কল্যাণ কামনায় পরিপূর্ণ বোধির অনুসন্ধানে বোধিসত্ত্বের পথও বোঝায়। তাই এই মতবাদের অপর নাম "বোধিসত্ত্বযান" বা "বোধিসত্ত্বের পন্থা"।[3][note 1] একজন বোধিসত্ত্ব যখন এই লক্ষ্য পূর্ণ করেন তখন তাকে বলা হয় "সম্যকসম্বুদ্ধ" (सम्यक्सम्बुद्ध), বা "পূর্ণ বোধিপ্রাপ্ত বুদ্ধ"। একজন সম্যকসম্বুদ্ধ ধর্ম প্রতিষ্ঠা করতে পারেন এবং নিজের শিষ্যদের বোধিলাভের পথ প্রদর্শন করতে পারেন। মহাযান বৌদ্ধরা শিক্ষা দেন একক জীবনেই বোধিলাভ সম্ভব এবং একজন সাধারণ মানুষও তা অর্জন করতে পারেন।[4]
বর্তমান যুগের বৌদ্ধ সম্প্রদায়গুলির মধ্যে মহাযানপন্থীরাই সংখ্যাগুরু। ২০১০ সালের হিসাব অনুযায়ী, বৌদ্ধদের মধ্যে ৫৩% এই মত অনুশীলন করেন, যেখানে থেরবাদের অনুগামীদের হার ৩৬% এবং বজ্রযান অনুশীলনকারীদের হার ৬%।[5]
মহাযান বৌদ্ধধর্মের ইতিহাসে দেখা যায়, এই মতবাদ ভারত থেকে বাংলাদেশ, নেপাল, ভুটান, চীন, তাইওয়ান, মোঙ্গোলিয়া, কোরিয়া, জাপান, ভিয়েতনাম, ইন্দোনেশিয়া, মালয়েশিয়া ও সিঙ্গাপুরের মতো দক্ষিণ, পূর্ব ও দক্ষিণপূর্ব এশীয় দেশগুলিতে ছড়িয়ে পড়ে। আফগানিস্তান, থাইল্যান্ড, কম্বোডিয়া, লাওস, মালদ্বীপ, পাকিস্তান, শ্রীলঙ্কা, ব্রহ্মদেশ, ইরানের মতো অন্যান্য দক্ষিণ ও দক্ষিণপূর্ব এশীয় দেশগুলিতে এবং মধ্য এশিয়ার অন্যান্য দেশগুলিতেও এই মতবাদ প্রসারিত হয়েছিল। পরবর্তীকালে ইসলাম অথবা অন্য ধর্মমত এই সব অঞ্চলে আধিপত্য বিস্তার করে।[6]
খ্রিস্টীয় ৭ম থেকে ১২শ শতাব্দীর মধ্যবর্তী সময়ে ভারতে বৌদ্ধধর্মের শেষ যুগে নালন্দার মতো বৃহৎ মহাযান শিক্ষাকেন্দ্রগুলি গড়ে উঠেছিল।[1] চান বৌদ্ধধর্ম, জাপানি জেন, বুদ্ধক্ষেত্র বৌদ্ধধর্ম, নিচিরেন বৌদ্ধধর্ম ও ভিয়েতনামি বৌদ্ধধর্ম বর্তমানে মহাযান বৌদ্ধ সম্প্রদায়ের প্রধান উপশাখা। তিয়ানতাই, তেনদাই, শিংগন বৌদ্ধধর্ম ও তিব্বতি বৌদ্ধধর্মের মতো বজ্রযান শাখাগুলিকেও মহাযানের অন্তর্গত বলে ধরা যেতে পারে। এই শাখাগুলির থেকে মহাযান মতে কিছু দুর্বোধ্য শিক্ষা অন্তর্ভুক্ত হয়েছে।
ব্যুৎপত্তি
জান নাটিয়ারের মতে, "মহাযান" শব্দটি প্রথম দিকে "বোধিসত্ত্বযান" শব্দের একটি সম্মানসূচক বিশেষণ ছিল।[7] একজন বোধিসত্ত্বের মাধ্যমে সকল সজীব প্রাণীর কল্যাণের জন্য বুদ্ধত্ব অনুসন্ধানকেই বলা হত বোধিসত্ত্বযান।[3] তাই বোধিসত্ত্বের শিক্ষা ও সাধনপন্থা যবে থেকে প্রচলিত হয়েছে, তবে থেকেই "মহাযান" শব্দটি চলে আসছে। যেহেতু এটি বোধিসত্ত্বযান কথাটির বিশেষণ হিসেবে ব্যবহৃত হত, সেহেতু "মহাযান" শব্দটি ও তার প্রয়োগের সঙ্গে মহাযান শাখার বিকাশের কোনো গুরুত্বপূর্ণ যোগসূত্র নেই।[7]
প্রাচীনতম মহাযান ধর্মগ্রন্থগুলি "মহাযান" শব্দটিকে "বোধিসত্ত্বযান" শব্দের প্রতিশব্দ হিসেবেই গ্রহণ করেছে। তবে প্রাচীন গ্রন্থগুলিতে "হীনযান" শব্দের ব্যবহার তুলনামূলকভাবে খুবই কম। "মহাযান" ও "হীনযান" মতের মধ্যে আপাত বিরোধটি ভ্রান্ত হতে পারে। কারণ, দুটি শব্দই একই যুগে একে অপরের সঙ্গে সম্পর্ক নির্দেশ করার জন্য তৈরি করা হয়নি।[8]
"মহাযান" সম্পর্কে প্রাচীনতম ও সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ সূত্রগুলি হল সদ্ধর্ম পুণ্ডরিকা সূত্র উল্লিখিত সূত্রগুলি। এগুলি খ্রিস্টপূর্ব প্রথম শতাব্দী থেকে খ্রিস্টীয় প্রথম শতাব্দীর মধ্যবর্তী সময়ে লেখা হয়।[9] সেইশি করশিমা বলেছেন, শব্দটি রপ্রথম ব্যবহৃত হয়েছিল সদ্ধর্ম পুণ্ডরিক সূত্র-এর গান্ধারী প্রাকৃত সংস্করণে। শব্দটি "মহাযান" ছিল না, ছিল প্রাকৃত শব্দ "মহাজান" বা "মহাজ্ঞান"।[10] পরে প্রাকৃত শব্দটি সংস্কৃতে রূপান্তরিত করার সময় "মহাযান" হয়ে যায়। এই রূপান্তরের কারণ সম্ভবত বৌদ্ধদের বিখ্যাত দগ্ধ বাড়ির উপকথাটির দ্বিমুখী অর্থ, যেখানে তিনটি "যান" বা গাড়ির উল্লেখ আছে।[note 2][11]
ইতিহাস
উৎস
মহাযান শাখার উৎস সম্পর্কে সম্পূর্ণ তথ্য পাওয়া যায় না।[12] প্রথমদিকে পাশ্চাত্য গবেষকেরা মনে করতেন, এটি ছিল তথাকথিত "হীনযান" শাখার একটি বিরোধী শাখা। মহাযান শাখায় বুদ্ধ ও বোধিসত্ত্ব পূজার প্রবণতা থেকে অনুমান করা হয়, এটি বৌদ্ধধর্মের একটি ভক্তিবাদী ও গৃহস্থকেন্দ্রিক শাখা। স্তুপ উপাসনার সূচনা মহাযান শাখাতেই শুরু হয়েছিল বলে অনুমান করা হয়।[13] এটিকে ইউরোপীয় ধর্মবিশ্বাসের ইতিহাসে প্রোটেস্টান্ট আন্দোলনের সঙ্গে তুলনাও করা হয়। তবে আধুনিক কালে অনেকগুলি প্রাচীন গ্রন্থ আবিষ্কৃত হওয়ার পর এই ধারণাগুলি পরিত্যক্ত হয়েছে।[14] খড়্গভীষণ সূত্র ইত্যাদি বইয়ের ধারণার অনুরূপ কিছু ধারণা, যেমন বোধিসত্ত্ব পথের প্রতি কঠোর আনুগত্য, নির্জনে কঠোর সন্ন্যাসধর্ম পালন ইত্যাদি প্রাচীনতম মহাযান ধর্মগ্রন্থগুলিতেও পাওয়া যায়।[note 3] মহাযান ভক্তিবাদী ও গৃহস্থকেন্দ্রিক শাখা ছিল বলে যে ধারণা প্রচলিত ছিল, তা আধুনিক কালে ভ্রান্ত বলে পরিত্যক্ত হয়েছে।[note 4]
খ্রিস্টপূর্ব প্রথম শতাব্দী ও খ্রিস্টীয় প্রথম শতাব্দীতে লিখিত সূত্রগুলিতে প্রথম "মহাযান" কথাটির উল্লেখ পাওয়া যায়। জান নাটিয়ার লিখেছেন, উগ্রপরিপৃচ্চ সূত্র ইত্যাদি প্রাচীনতম মহাযান সূত্রগুলিতে "মহাযান" শব্দটিকে কোনো পৃথক শাখার নাম হিসেবে ব্যবহার করা হয়নি বা প্রাচীন শাখাগুলির সঙ্গে এই শাখার কোনো তত্ত্বগত বিরোধও দেখানো হয়নি। "মহাযান" বলতে বোঝানো হয়েছে বোধিসত্ত্বের পথ অনুসরণ করে গৌতম সিদ্ধার্থের বুদ্ধত্ব প্রাপ্তির কঠোর উচ্চাকাঙ্ক্ষাটিকে।[15]
মহাযান শাখাটি যে প্রাচীন কালে বৌদ্ধধর্মের একটি শাখা বা সম্প্রদায় হিসেবে বিবেচিত হত, তারও কোনো প্রমাণ পাওয়া যায় না। তখন মহাযান বলতে কিছু আদর্শ ও বোধিসত্ত্ব ইত্যাদি কিছু পরবর্তীকালে উদ্ভূত মতের সমষ্টি বোঝাত।[15] পল উইলিয়ামস লিখেছেন, মহাযান প্রাচীনকালে আলাদা "বিনয়" বা শাখাসম্প্রদায় হিসেবে বিবেচিত হত না। তাই মহাযানপন্থী ভিক্ষু বা ভিক্ষুনিরা আনুষ্ঠানিকভাবে অন্য কোনো একটি প্রাচীন শাখার অন্তর্গত ছিলেন। ওই সব "নিকায়" বা সন্ন্যাসী সম্প্রদায়ের সদস্যপদ বর্তমানকালে পূর্ব এশিয়ায় ধর্মগুপ্তক নিকায় ও তিব্বতি বৌদ্ধধর্মে মূলসর্বাস্তিবাদ নিকায় অনুযায়ী নির্ধারিত হয়। তাই মহাযান কখনই প্রাচীন শাখাগুলির থেকে পৃথক বিরোধী শাখা ছিল না।[16] পল হ্যারিসনের ব্যাখ্যা অনুসারে, মহাযান নিকায়ের অন্তর্গত হলেও, নিকায়ের সকল সদস্য মহাযানপন্থী নন।[17] ভারতে আগত চীনা পর্যটক-সন্ন্যাসীদের লেখা থেকে জানা যায়, সেকালে একই মঠে মহাযানপন্থী ও মহাযান-বিরোধী সন্ন্যাসীরা বাস করতেন।[18]
চীনা সন্ন্যাসী ইজিং খ্রিস্টীয় সপ্তম শতাব্দীতে ভারতে এসেছিলেন। তিনি মহাযান ও হীনযানের পার্থক্য করতে গিয়ে লিখেছেন:[19]
দুই মতবাদই এক বিনয় গ্রহণ করেছে। পাঁচটি নিষেধবাক্য দুই মতবাদেই গৃহীত। দুই-ই চতুরার্য সত্যের চর্চা করে। যারা বোধিসত্ত্বদের পূজা করেন এবং মহাযানসূত্রগুলি পড়েন, তাঁদের বলা হয় মহাযানপন্থী এবং যাঁরা এগুলি করেন না, তাঁদের বলা হয় হীনযানপন্থী।
মহাযান শাখার উৎস সম্পর্কে প্রাচীনতম প্রামাণ্য গ্রন্থগুলি হল মহাযান ধর্মগ্রন্থগুলির চীনা অনুবাদ। বৌদ্ধ সন্ন্যাসী লোকক্ষেমা খ্রিস্টীয় দ্বিতীয় শতাব্দীতে চীনে প্রথম মহাযান ধর্মমত প্রচার করেছিলেন। তিনিই মহাযান সূত্রগুলি চীনা ভাষায় অনুবাদ করেন।[note 5]
প্রাচীন মহাযান সূত্র
গবেষকদের প্রথাগত বিশ্বাস অনুসারে, প্রজ্ঞাপারমিতা শ্রেণীর প্রথম সংস্করণ এবং অক্ষোভ্য বুদ্ধ-সংক্রান্ত বইগুলি প্রাচীম মহাযান সূত্রের অন্তর্গত। এগুলি সম্ভবত খ্রিস্টপূর্ব প্রথম শতাব্দীতে দক্ষিণ ভারতে রচিত হয়েছিল।[20][21][22] কুষাণ যুগের সন্ন্যাসী লোকক্ষেম আদি মহাযান সূত্রের কতকগুলি অনুবাদ করেছিলেন। তিনি গান্ধার রাজ্য থেকে চীন দেশে যান। ১৭৮-১৮৯ খ্রিষ্টাব্দে চীনের রাজধানী লুওয়াং শহরে বসে তিনি অনুবাদ কাজ সম্পন্ন করেছিলেন।[23] খ্রিস্টীয় দ্বিতীয় শতাব্দীতে নিম্নলিখিত কয়েকটি মহাযানসূত্র অনূদিত হয়:[24]
- অষ্টসহস্রিকা প্রজ্ঞাপারমিতা সূত্র
- বিমলকীর্তি নির্দেশ সূত্র
- বৃহত্তর সুখাবতীব্যূহ সূত্র
- অক্ষোভ্যতথাগতস্যব্যূহ সূত্র
- উগ্রপরিপৃচ্চ সূত্র
- মঞ্জুশ্রীপরিপৃচ্চ সূত্র
- দ্রুমকিন্নররাজপরিপৃচ্চ সূত্র
- সুরঙ্গমা সমাধি সূত্র
- ভদ্রপাল সূত্র
- অজাতশত্রুকৃষ্টবিনোদন সূত্র
- কাশ্যপপরিবর্ত সূত্র
- লোকানুবর্তন সূত্র
- মহাবৈপুল্য বুদ্ধাবতংশক সূত্র-এর সঙ্গে সম্পর্কিত একটি প্রাচীন সূত্র
এই বইগুলিতে কঠোর সাধনা, বনবাস ও ধ্যানতন্ময়তার গুরুত্বের উপর বেশি জোর দেওয়া হয়েছে।[25]
হ্যারিসন লোকক্ষেমা সূত্র সাহিত্যের মাত্রাতিরিক্ত কঠোর ধর্মানুশীলন, মনবাস ও সর্বোপরি ধ্যানতন্ময়তা বা সমাধির প্রতি বিশেষ আকর্ষণের দিকে অঙ্গুলিনির্দেশ করেছেন। ধ্যান ও ধ্যানতন্ময় অবস্থা সম্ভবত আদি মহাযান শাখার কেন্দ্রবিন্দুতে থাকত। এর কারণ অবশ্যই তাদের আধ্যাত্মিক ক্ষমতা। তবে এর অন্য কারণ, তারা সম্ভবত ঘন ঘন দৈব দর্শন বা অনুপ্রেরণা পেতেন।
এগুলির কয়েকটি সম্ভবত খ্রিস্টীয় প্রথম শতাব্দীতে উত্তর ভারতে রচিত হয়েছিল।[26] কোনো কোনো গবেষকদের মতে, আদি মহাযান সূত্রগুলি প্রধানত দক্ষিণ ভারতে রচিত হয়েছিল। পরে এই অতিরিক্ত ধর্মগ্রন্থ রচনার কাজটা উত্তর ভারতেও ছড়িয়ে পড়ে।[note 6] অবশ্য মহাযান ধর্মগ্রন্থগুলির এই ক্রমে ক্রমে সংখ্যায় বৃদ্ধি পাওয়া আর "মহাযান" নামধারী কোনো ধর্মীয় আন্দোলনের আলাদা অস্তিত্বের পৃথম সমসাময়িক সহাবস্থানের কথা বললে ভুল হতে পারে।[note 7] কেউ কেউ মনে করেন, অভিধর্মের অতিবাস্তবতাবাদের প্রত্যুত্তরে প্রজ্ঞাপারমিতা সূত্র রচিত হয়েছিল।[27]
প্রাচীনতম শিলালিপি
যেসব শিলালিপিতে মহাযান মতটিকে স্পষ্টভাবে চেনা যায় এবং বুদ্ধ অমিতাভের উল্লেখ যেখানে আছে, সেই শিলালিপিগুলির মধ্যে যেটি প্রাচীনতম সেটি আবিষ্কৃত হয়েছে মথুরায়। এটি ৮০ খ্রিষ্টাব্দে নির্মিত হয়। একটি বুদ্ধমূর্তির ধ্বংসাবশেষের গায়ে ব্রাহ্মী হরফে লেখা আছে: "রাজা হুবিষ্কের রাজ্যাভিষেকের ২৮ বছর পরে নির্মিত... পবিত্র বুদ্ধ অমিতাভের জন্য।" সম্রাট হুবিষ্ক নিজে মহাযান বৌদ্ধধর্মের অনুগামী ছিলেন বলেও কিছু প্রমাণ পাওয়া গিয়েছে। সুয়েন সংগ্রহের একটি সংস্কৃত পুথিতে বলা হয়েছে, হুবিষ্ক "মহাযানের বিস্তার ঘটিয়েছিলেন।"[28] পঞ্চম শতাব্দীর আগে যেসব মহাযান গ্রন্থ মধ্য এশিয়া থেকে চীনে গিয়েছিল, তার তুলনায় ভারতীয় পুথিগুলিতে "মহাযান" নামটির প্রমাণ কমই পাওয়া যায়।[29][30][31]
আরও দেখুন
|
|
|
পাদটীকা
তথ্যসূত্র
গ্রন্থপঞ্জি
আরও পড়ুন
বহিঃসংযোগ
Wikiwand in your browser!
Seamless Wikipedia browsing. On steroids.
Every time you click a link to Wikipedia, Wiktionary or Wikiquote in your browser's search results, it will show the modern Wikiwand interface.
Wikiwand extension is a five stars, simple, with minimum permission required to keep your browsing private, safe and transparent.