ব্রাজিলের সংস্কৃতি
From Wikipedia, the free encyclopedia
ব্রাজিলের সংস্কৃতি বেশ বৈচিত্র্যময় একটি সংস্কৃতি। ঔপনিবেশিক শাসন আমলেই ব্রাজিলে বসবাসরত পর্তুগিজ, আফ্রিকান, ও আদিবাসী আমেরিকানদের ভেতর সাংস্কৃতিক ও জাতিগত মিশ্রণ ঘটে, যাকে কেন্দ্র করেই বর্তমান ব্রাজিলের সংস্কৃতির সবচেয়ে বড় অংশটি গড়ে উঠেছে। উনিশ শতকের শেষ দিকে ও বিশ শতকের গোড়ার দিকে ব্রাজিলে ইতালীয়, জার্মান, স্পেনীয়, আরব, ও জাপানি অভিবাসীদের আগমন ঘটে। এবং এসব জাতিগোষ্ঠীর মানুষের নিজস্ব সংষ্কৃতিও ব্রাজিলীয় সংস্কৃতির বিকাশ ও বৈচিত্র্যময়তাকে প্রভাবান্বিত করেছে, যার ফলশ্রুতিতে বর্তমানে ব্রাজিলে একটি বহুবৈচিত্রময় সংস্কৃতি ও বহুজাতিক সমাজব্যবস্থা গোড়াপত্তন হয়েছে।[1]
প্রায় তিন শতকেরও বেশি সময়ব্যাপী পর্তুগিজ সাম্রাজ্যের অংশ হিসেবে শাসিত হওয়ায় ব্রাজিলের সংস্কৃতির মূল অংশটি এসেছে পর্তুগিজ সংস্কৃতির কাছ থেকে। পর্তুগিজরা ব্রাজিলে মূলত যে বিষয়গুলোর ওপর প্রভাব ফেলেছে, তার মাঝে আছে পর্তুগিজ ভাষা, ক্যাথলিক চার্চ, এবং ঔপনিবেশিক নির্মাণশৈলী।[2] যদিও এই সংস্কৃতি আফ্রিকান, ও ব্রাজিলে বসবাসরত আদিবাসী আমেরিকানদের সংস্কৃতি ও ঐতিহ্য দ্বারা বেশ তীব্রভাবে প্রভাবিত হয়েছে, সেই সাথে অন্যান্য অ-পর্তুগিজ ইউরোপীয়দের দ্বারাও।[3] ব্রাজিলীয় সংষ্কৃতির কিছু অংশ গড়ে উঠেছে ইতালীয়, জার্মান, ও অন্যান্য ইউরোপীয় অভিবাসীদের হাত ধরে। পূর্বে বেশ বড় সংখ্যায় আগমনকৃত এসকল ইউরোপীয়দের একটি বড় অংশ ব্রাজিলের দক্ষিণ ও দক্ষিণ-পূর্ব অংশে বাস করে, এবং ঐ অঞ্চলের সংস্কৃতিকে প্রভাবিত করেছে।[4] আদিবাসী আমেরিকানরা মূলত ব্রাজিলের ভাষা ও রন্ধনশিল্পকে প্রভাবিত করেছে; অপরদিকে আফ্রিকানরা প্রভাব বিস্তার করেছে ভাষা, রন্ধনশিল্প, সঙ্গীত, নৃত্য, এবং ধর্ম ইত্যাদি নানাবিধ ক্ষেত্রে।[4][5]