ফুসফুসের ক্যান্সার
From Wikipedia, the free encyclopedia
ফুসফুসের ক্যান্সার (ইংরেজি: Lung cancer) বা ফুসফুস ক্যান্সার একটি রোগ যাতে ফুসফুসের টিস্যুগুলিতে অনিয়ন্ত্রিত কোষবৃদ্ধি ঘটে। এই বৃদ্ধির ফলে মেটাস্ট্যাসিস, প্রতিবেশী টিস্যু আক্রমণ এবং ফুসফুসের বাইরে সংক্রমণ ঘটতে পারে। প্রাথমিক ফুসুফুসের ক্যান্সারের অধিকাংশই ফুসফুসের কার্সিনোমা, যা ফুসফুসের এপিথেলিয়াল কোষগুলিতে ধরা পড়ে। ফুসফুসের ক্যান্সার পুরুষদের ক্যান্সার-জনিত মৃত্যুর প্রধান কারণ এবং মহিলাদের এরূপ মৃত্যুর দ্বিতীয় প্রধান কারণ। [10][11] ফুসফুসের ক্যান্সারের কারণে প্রতি বছর বিশ্বে ১৩ লক্ষ লোক মারা যান। [12] ফুসফুসের ক্যান্সারের সাধারণ লক্ষণ শ্বাস নিতে সমস্যা, রক্তসহ কাশি এবং ওজন হ্রাস। [1]
ফুসফুসের ক্যান্সার | |
---|---|
প্রতিশব্দ | ফুসফুসের ক্যান্সার |
একটি ফুসফুসের ক্যান্সারের বুকের এক্স রে এবং (→) তীর চিহ্ন দ্বারা টিউমার নির্দেশিত | |
বিশেষত্ব | ক্যান্সার |
লক্ষণ | রক্তসহ বমি,ওজন হ্রাস,শ্বাস-স্বল্পতা,বুকে ব্যাথা[1] |
রোগের সূত্রপাত | ৭০ বছর[2] |
প্রকারভেদ | Small-cell lung carcinoma (SCLC), non-small-cell lung carcinoma (NSCLC)[3] |
ঝুঁকির কারণ | তামাক সেবন,বংশগত,বায়ু দূষণ [4][5] |
রোগনির্ণয়ের পদ্ধতি | মেডিকেল ইমেজিং, টিস্যু বায়োপ্সি[6][7] |
চিকিৎসা | সার্জারি, কেমোথেরাপি, রেডিওথেরাপি[7] |
আরোগ্যসম্ভাবনা | পাঁচ বছর পর্যন্ত বেঁচে থাকার হার ১৭.৪% (US)[2] |
সংঘটনের হার | ৩৩ লক্ষ মানুষ (২০১৫)[8] |
মৃতের সংখ্যা | ১৭ লক্ষ (২০১৫)[9] |
ফুসফুস ক্যান্সারের ৮৫% এর জন্য দায়ী দীর্ঘমেয়াদি তামাক সেবন।[4] বাকি ১০-১৫% যারা কখনো ধূমপান করেন নি,তারা আক্রান্ত হন।[13] জেনেটিক ফ্যাক্টর,বায়ু দূষণ ইত্যাদি ফুসফুস ক্যান্সারের অন্যতম প্রভাবক।.[4][5][7][14][15].[6][16] বুকের এক্স-রে পরীক্ষা এবং কম্পিউটার টমোগ্রাফির মাধ্যমে ফুসফুসের ক্যান্সার ধরা যেতে পারে। পরবর্তীতে একটি বায়োপসির মাধ্যমে এটি নিশ্চিত করা সম্ভব। সার্জারি, কেমোথেরাপি এবং রেডিওথেরাপির মাধ্যমে এর চিকিৎসা করা যায়। ৫ বছর চিকিৎসার পর রোগীর বেঁচে যাওয়ার হার ১৪% [1]