প্রোটো-ইন্দো-ইউরোপীয় কল্পতত্ত্ব
পুনর্নিমিত প্রত্ন-ধর্ম / From Wikipedia, the free encyclopedia
প্রোটো-ইন্দো-ইউরোপীয় কল্পকথা হচ্ছে প্রোটো-ইন্দো-ইউরোপীয়দের সাথে সম্পর্কিত কল্প কাহিনী ও দেবতা বিষয়ক কাঠামো, যারা ছিলেন পুনর্গঠিত প্রোটো-ইন্দো-ইউরোপীয় ভাষার কল্পিত ভাষাভাষির মানুষ। পৌরাণিক মূল উপাদানগুলি সরাসরি ভাবে সত্যায়িত না হলেও, প্রোটো-ইন্দো-ইউরোপীয় ভাষাভাষীর মানুষেরা আদিম সমাজে বসবাস করতেন বলে মনে করা হয়। প্রোটো-ইন্দো-এর কিছু অংশ ইউরোপীয়দের মূল বিশ্বাস ব্যবস্থা অঙ্গজ ঐতিহ্যের মধ্যে টিকে ছিল এমন ধারণার ভিত্তিতে তুলনামূলক পুরাণতত্ত্ববিদেরা ইন্দো-ইউরোপীয় ভাষাসমূহের মধ্যে পাওয়া উত্তরাধিকারসূত্রে প্রাপ্ত সাদৃশ্যগুলি থেকে বিশদ পুনর্নির্মাণ করেছেন।[note 1]
প্রোটো-ইন্দো-ইউরোপীয় ধর্মকে সরাসরি নিরূপণ করা সম্ভব না হলেও ইন্দো-ইউরোপীয় জনগোষ্ঠীর উপাস্য দেবতা, ধর্মানুশীলন ও জনশ্রুতির মধ্যে সাদৃশ্যের ভিত্তিতে এই ধর্মমত পুনর্নির্মাণের চেষ্টা করা হয়েছে। এটি আর্য ধর্মের একটি অন্যতম শাখা।
এই প্রকল্পিত পুনর্নির্মাণ তুলনামূলক পদ্ধতি দ্বারা ভাষাতত্ত্বের সাক্ষ্যপ্রমাণের ভিত্তিতে তৈরি হয়েছে। চ্যালকোলিথিক (তাম্র-প্রস্তর) যুগের আদিম ইন্দো-ইউরোপীয় সংস্কৃতির সমকালীন কোন নির্দিষ্ট সংস্কৃতির হদিশ প্রত্নতাত্ত্বিক সাক্ষ্যের দ্বারা পাওয়া খুবই দুরূহ।[1]