পাকিস্তানের সংবিধান
ইসলামী প্রজাতন্ত্রী পাকিস্তানের সংবিধান। / From Wikipedia, the free encyclopedia
ইসলামী প্রজাতন্ত্রী পাকিস্তানের সংবিধান (উর্দু: آئین پاکستان, প্রতিবর্ণী. আইন-ই-পাকিস্তান), ১৯৭৩ সালের সংবিধান হিসাবেও পরিচিত, পাকিস্তানের সর্বোচ্চ আইন। [1] দেশটির বিরোধী দলগুলির সহায়তায় জুলফিকার আলী ভুট্টোর সরকার কর্তৃক এই খসড়াটি সংসদে ১০ এপ্রিল পাস হয় এবং ১৯৭৩ সালের ১৪ আগস্ট অনুুুুমোদিত হয়েছিিল। [2]
পাকিস্তানের ইসলামি প্রজাতন্ত্রের সংবিধান | |
---|---|
সাধারণ | |
এখতিয়ার | পাকিস্তান |
তৈরি | ২০ অক্টোবর ১৯৭২; ৫১ বছর আগে (1972-10-20) |
অনুমোদন | ১২ এপ্রিল ১৯৭৩; ৫১ বছর আগে (1973-04-12) |
কার্যকরের তারিখ | ১৪ আগস্ট ১৯৭৩; ৫০ বছর আগে (1973-08-14) |
পদ্ধতি | সাংবিধানিক ফেডারেল সংসদীয় প্রজাতন্ত্র |
সরকারি কাঠামো | |
শাখা | ৩ |
কক্ষ | দ্বিকক্ষবিশিষ্ট (সিনেট ও জাতীয় পরিষদ) |
নির্বাহী | প্রধানমন্ত্রী |
বিচারব্যবস্থা | সুপ্রিম কোর্ট, হাইকোর্ট ও জেলা আদালত |
মৈত্রীতন্ত্র | সংঘ |
নির্বাচনী কলেজ | হ্যাঁ, রাষ্ট্রপতি নির্বাচনের জন্য |
ইতিহাস | |
সংশোধনী | ২৬ |
সর্বশেষ সংশোধনী | ৩১ মে ২০১৮ |
অবস্থান | সংসদ ভবন, ইসলামাবাদ, পাকিস্তান |
গ্রহণকর্তা | পাকিস্তানের সংসদ |
স্বাক্ষরকারী | ১২তম সংসদ (সর্বসম্মত) |
স্থানান্তর | পাকিস্তানের সংবিধান, ১৯৬২ লিগাল ফ্রেমওয়ার্ক অর্ডার, ১৯৭০ |
সংবিধানটি পাকিস্তানের আইন, তার রাজনৈতিক সংস্কৃতি এবং ব্যবস্থাপনার জন্য নির্দেশিত। এটি রাষ্ট্রকে (তার ভৌত অস্তিত্ব এবং এর সীমানা), জনগণ এবং তাদের মৌলিক অধিকার, রাষ্ট্রের সাংবিধানিক আইন ও আদেশ এবং সংস্থা এবং দেশের সশস্ত্র বাহিনীর সাংবিধানিক কাঠামো এবং স্থাপনা চিহ্নিত করে। [3] প্রথম তিনটি অধ্যায়ে সরকারের তিনটি শাখার বিধি, আদেশ ও পৃথক ক্ষমতা প্রতিষ্ঠিত হয়: দ্বি দ্বিদলীয় আইনসভা; প্রধান নির্বাহী হিসাবে প্রধানমন্ত্রী কর্তৃক পরিচালিত একটি নির্বাহী শাখা; এবং সুপ্রিম কোর্টের নেতৃত্বাধীন শীর্ষস্থানীয় ফেডারেল বিচার বিভাগ। সংবিধানটি পাকিস্তানের রাষ্ট্রপতিকে নিয়মতান্ত্রিক রাষ্ট্রপ্রধান হিসাবে মনোনীত করেছে। [4] সংবিধানের প্রথম ছয় অনুচ্ছেদে রাজনৈতিক ব্যবস্থাটিকে ফেডারেল সংসদীয় প্রজাতন্ত্র ব্যবস্থা হিসাবে রূপরেখা দেওয়া হয়েছে; পাশাপাশি ইসলামকে তার রাষ্ট্রীয় ধর্ম হিসাবে ঘোষণা দেয়া হয়েছে। [5] সংবিধানে কুরআন ও সুন্নাহে অন্তর্ভুক্ত ইসলামিক আদেশের সাথে আইনি ব্যবস্থার আনুগত্যের বিবরণও সংযোজন করা হয়েছে। [6]
বেমানান বা সংবিধানের বিপরীত হতে পারে এমন কোনো আইন সংসদে দুই-তৃতীয়াংশ সংখ্যাগরিষ্ঠতা প্রাপ্তিপূর্বক সংশোধন করতে পারবে (১৯৫৬ এবং ১৯৬২ এ এটি ছিল না) । [7] সময়ের সাথে সাথে এটি সংশোধন করা হয়েছে । ১৯৭৩ সালে কার্যকর করা হলেও ২৩ শে মার্চ প্রতি বছর প্রজাতন্ত্র দিবস হিসাবে সংবিধান গ্রহণের দিনটি উদ্যাপন করে - (প্রথম সেটটি ১৯৫৫ সালের ২৩ শে মার্চ ঘোষণা করা হয়েছিল)। [8]