গাণিতিক সৌন্দর্য
From Wikipedia, the free encyclopedia
বেশির ভাগ গণিতবিদ তাদের কাজে নান্দনিক তৃপ্তি খুঁজে পান। তারা গণিত বা গণিতের কোন নির্দিষ্ট রূপকে "সুন্দর" উপাধি দিয়ে এই তৃপ্তি প্রকাশ করেন। কখনো কখনো গণিতবিদেরা গণিতকে শিল্পের সাথে, নিদেনপক্ষে একধরনের সৃষ্টিশীল কাজের তুলনা করে থাকেন। গণিতের সাথে সঙ্গীত ও কবিতা-র তুলনাও বিরল নয়।
বারট্রান্ড রাসেল গণিতের সৌন্দর্যকে এভাবে প্রকাশ করেন:
সঠিক দৃষ্টিতে দেখলে গণিত শুধু তথ্য নয়, বরং এক পরম সৌন্দর্য ধারণ করে, যে সৌন্দর্য ভাস্কর্যের মত শীতল ও নিরাভরণ, যা আমাদের চরিত্রের দুর্বল দিককে আকর্ষণ করে না, যা চিত্রকর্ম বা সঙ্গীতের মত জমকালো সাজসজ্জাবহুল নয়, কিন্তু তারপরেও যেটি মহিমান্বিতভাবে বিশুদ্ধ, এবং যেটি এমন এক কঠোর উৎকর্ষের সামর্থ্য রাখে, যা কেবলমাত্র সর্বশ্রেষ্ঠ শিল্পকর্মের পক্ষেই উপস্থাপন করা সম্ভব। কবিতার মত গণিতেও নিশ্চিতভাবেই পুলক, পরমানন্দ এবং মানুষের চেয়ে বড় কিছুর আভাসের বিশুদ্ধ নির্যাস পাওয়া সম্ভব, যা হল চরম উৎকর্ষের কষ্টিপাথর।[1]
পল এর্ডশ গণিতের অনির্বচনীয়তা (ineffability) সম্পর্কে তাঁর মত দেন এভাবে:
সংখ্যা সুন্দর কেন? এ যেন বেটহোফেনের নবম ঐকতানিক সঙ্গীত (সিম্ফনি) সুন্দর কেন, তা জিজ্ঞেস করার মত। যদি আপনি সংখ্যা কেন সুন্দর তা বুঝতে না পারেন, তাহলে অন্য কেউ আপনাকে তা বলে দিতে পারবে না। আমি জানি যে সংখ্যা সুন্দর। যদি সংখ্যা সুন্দর না হয়, তাহলে অন্য কোনও কিছুই সুন্দর নয়।[2]