ইলিয়া মিয়েচ্নিকফ
চিকিৎসাবিজ্ঞানে নোবেল পুরস্কার (১৯০৮) বিজয়ী রুশ প্রাণীবিজ্ঞানী ও অনাক্রম্যবিজ্ঞানী / From Wikipedia, the free encyclopedia
ইলিয়া ইলিচ মিয়েচ্নিকফ (রুশ: Илья Ильич Мечников, ফরাসিতে Élie Metchnikoff হিসেবেও লেখা হয়; 15 May [পুরোনো শৈলীতে 3 May] 1845 – ১৫ই জুলাই ১৯১৬)[1][টীকা 1] একজন রুশ[2] প্রাণীবিজ্ঞানী যিনি মূলত অনাক্রম্যবিজ্ঞান ক্ষেত্রে অগ্রবর্তী গবেষণার জন্য পরিচিত।[3][4][5]
ইলিয়া মিয়েচ্নিকফ | |
---|---|
জন্ম | ইলিয়া ইলিচ মিয়েচ্নিকফ 15 May [পুরোনো শৈলীতে 3 May] 1845 |
মৃত্যু | ১৫ জুলাই ১৯১৬(1916-07-15) (বয়স ৭১) প্যারিস, ফ্রান্স |
জাতীয়তা | রুশ |
মাতৃশিক্ষায়তন |
|
পরিচিতির কারণ |
|
পুরস্কার |
|
বৈজ্ঞানিক কর্মজীবন | |
কর্মক্ষেত্র |
|
প্রতিষ্ঠানসমূহ |
|
বিশেষ করে তাঁকে ১৮৮২ সালে ভক্ষককোষ (বৃহৎ ভক্ষককোষ) আবিষ্কারের জন্য স্বীকৃতি দেওয়া হয়। তাঁর এই আবিষ্কারের পরে বের হয় যে ভক্ষককোষগুলি সহজাত অনাক্রম্যতার একটি গুরুত্বপূর্ণ প্রতিরক্ষামূলক উপাদান।[6] এই আবিষ্কারের জন্য পাউল এরলিখের সাথে মিয়েচ্নিকফকে একত্রে "অনাক্রম্যতার উপরে তাদের গবেষণাকর্মের স্বীকৃতিস্বরূপ" ১৯০৮ সালে চিকিৎসাবিজ্ঞানে নোবেল পুরস্কার প্রদান করা হয়।[7] এছাড়া কারও কারও মতে তিনি বার্ধক্যবিজ্ঞানের পশ্চিমা পরিভাষা "জেরন্টোলজি"-র প্রবর্তক।[8][9] জীবন দীর্ঘায়নের সমর্থকেরা তাঁর জন্মদিনকে "মিয়েচনিকফ দিবস" হিসেবে পালন করে।[10][11][12][13] এছাড়া তিনি কোষ দ্বারা মধ্যস্থতাকৃত অনাক্রম্যতার ধারণাটি প্রতিষ্ঠা করেন। এর বিপরীতে পাউল এরলিখ দেহরসীয় অনাক্রম্যতার ধারণাটির প্রবর্তন করেন। এই দুইটি ধারণাই আধুনিক অনাক্রম্যবিজ্ঞানের ভিত্তি হিসেবে পরিগণিত হয়।[14] অনাক্রম্যবিজ্ঞানে তাঁকে "সহজাত অনাক্রম্যতার জনক" উপাধি দেওয়া হয়েছে।[15]