আর্নি ফ্লেচার
From Wikipedia, the free encyclopedia
আর্নেস্ট লি ফ্লেচার এর জন্ম ১২ই নভেম্বর, ১৯৫২ সালে। তিনি একাধারে একজন আমেরিকান চিকিৎসক এবং রাজনীতিবিদ। তিনি ১৯৯৮ সালে, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের হাউস অব রিপ্রেজেন্টেটিভস পদে পর পর তিন বার নির্বাচিত হন। ২০০৩ সালে তিনি এই পদ থেকে পদত্যাগ করেন এবং কেন্টাকি এর ৬০ তম গভর্নর নির্বাচিত হন। ২০০৭ সাল পর্যন্ত ফ্লেচার এই পদে নিয়োজিত ছিলেন। রাজনৈতিক জীবন শুরু করার আগে ফ্লেচার একজন পারিবারিক চিকিৎসক ছিলেন এবং সেই সাথে ব্যাপটিস্ট লে মন্ত্রী হিসেবেও দায়িত্ব পালন করছিলেন। তিনি কেন্টাকির গভর্নর হিসেবে নির্বাচিত দ্বিতীয় চিকিৎসক ছিলেন। ১৮৭৯ সালে, লুক পি.ব্ল্যাকবার্ন কেন্টাকির গভর্নর হিসেবে নির্বাচিত হন এবং তিনি ছিলেন গভর্নর পদে নিযুক্ত প্রথম চিকিৎসক। তিনি রিপাবলিকান পার্টির একজন সদস্য।
আর্নি ফ্লেচার | |
---|---|
৬০তম গভর্নর, কেন্টাকি | |
কাজের মেয়াদ ডিসেম্বর ৯, ২০০৩ – ডিসেম্বর ১১, ২০০৭ | |
লেফটেন্যান্ট | স্টিভ পেন্স |
পূর্বসূরী | পল প্যাটন |
উত্তরসূরী | স্টিভ বিশেয়ার |
-নির্বাচিত সদস্য কেন্টাকি জেলা থেকে | |
কাজের মেয়াদ জানুয়ারি ৩,১৯৯৯ – ডিসেম্বর ৮, ২০০৩ | |
পূর্বসূরী | স্কটি বেইস্লার |
উত্তরসূরী | বেন স্যান্ডলার |
ব্যক্তিগত বিবরণ | |
জন্ম | আর্নেস্ট লি ফ্লেচার (1952-11-12) ১২ নভেম্বর ১৯৫২ (বয়স ৭১) মাউন্ট স্টার্লিং, কেন্টাকি, আমেরিকা |
রাজনৈতিক দল | রিপাবলিকান |
দাম্পত্য সঙ্গী | গ্লিনা ফস্টার |
প্রাক্তন শিক্ষার্থী | কেন্টাকি ইউনিভার্সিটি (বি এস, এম ডি) |
পুরস্কার | বিমান বাহিনীর প্রশংসাসূচক পদক এয়ার ফোর্স ইউনিট এর অসামান্য পুরস্কার |
স্বাক্ষর | |
সামরিক পরিষেবা | |
আনুগত্য | টেমপ্লেট:দেশের উপাত্ত আমেরিকা |
শাখা | ইউ.এস এয়ার ফোর্স |
কাজের মেয়াদ | ১৯৭৪-১৯৮০ |
পদ | অধিনায়ক |
ফ্লেচার কেন্টাকি বিশ্ববিদ্যালয় থেকে স্নাতক শেষ করে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের বিমান বাহিনীতে যোগ দেন। ফ্লেচারের স্বপ্ন ছিল মহাকাশচারী হবেন। বিমানবাহিনী বাজেট কমিয়ে দেয়ার কারণে তার স্কোয়াড্রনের ফ্লাই টাইম (আকাশে থাকার সময়) কমে যায়। ব্যাপারটি তার পছন্দ না হওয়ায় তিনি বিমান বাহিনীর চাকরি ছেড়ে দেন। এরপর তিনি মেডিসিন এ ডিগ্রী অর্জন করেন। তার লক্ষ্য ছিল মহাকাশ মিশনে বেসামরিক নাগরিক হিসেবে নিজের জায়গা করে নেয়া। কিন্তু দৃষ্টিশক্তি কমে যাওয়ায় তাকে নভোচারী হওয়ার স্বপ্ন ত্যাগ করতে হয়। তিনি ব্যক্তিগতভাবে চিকিৎসক হিসেবে কর্ম জীবন শুরু করেন। সেই সাথে ব্যাপটিস্ট মন্ত্রী হিসাবে যোগদান করেন। ১৯৯৪ সালে তিনি কেন্টাকি হাউস অব রিপ্রেজেন্টেটিভস এ নির্বাচিত হন এবং রাজনীতিতে সক্রিয় হন। দুই বছর পর তিনি মার্কিন হাউস অব রিপ্রেজেন্টেটিভস আসনের জন্য লড়েন, কিন্তু তৎকালীন দায়িত্বে থাকা স্কট বেইস্লার এর কাছে হেরে যান। স্কট বেইস্লার মার্কিন সিনেটের জন্য লড়তে অবসরে চলে যান। ফ্লেচার আবারও কংগ্রেস আসনের জন্য লড়েন এবং ডেমোক্রেটিক স্টেট সিনেটর আর্নেস্টো স্করসান কে পরাজিত করেন। ফ্লেচার খুব শীঘ্রই হেল্থ রিপাবলিকান ক্যকাসের স্বাস্থ্যসেবা আইন, বিশেষত রোগীদের বিল অফ রাইটস সম্পর্কিত শীর্ষ উপদেষ্টা পদ লাভ করেন।
২০০৩ সালে, ফ্লেচার যুক্তরাষ্ট্রের অ্যাটর্নি জেনারেল বেন চ্যান্ডলারের কে পরাজিত করে গভর্নর হিসেবে নির্বাচিত হন। গভর্নর হিসেবে দায়িত্ব নেয়ার পর তার মেয়াদের শুরুর দিকে ফ্লেচার নির্বাহী শাখার পুনর্গঠন করে রাষ্ট্রের বেশ কিছু অর্থ বাঁচিয়ে দেন। ২০০৪ সালে, তিনি রাষ্ট্রীয় কর কোডের একটি পরিবর্তন প্রস্তাব করেন, তবে সাধারণ পরিষদ এটি বাতিল করে দেয়। রাজ্য সিনেটে রিপাবলিকানরা রাষ্ট্রীয় বাজেট সংস্কারে তৎপর হয়। তারা, তার সংস্কারটিতে জোর দিয়েছিলেন, কিন্তু আইনসভা আইনটি পাস না করেই স্থগিত হয় এবং ২০০৫ সাল পর্যন্ত রাষ্ট্র ফ্লেচার এর করা নির্বাহী ব্যয়ের খসড়া পরিকল্পনার অধীনেই পরিচালিত হয়েছিল। ২০০৫ সালে বাজেট এবং সংশোধন উভয়ই গৃহীত হয়েছিল।
পরে ২০০৫ সালে, রাষ্ট্রের সর্বোচ্চ পদাসীন গণতন্ত্রবাদী, অ্যাটর্নি জেনারেল গ্রেগ স্টাম্বো, ফ্লেচার প্রশাসনের নিয়োগ পদ্ধতি রাষ্ট্রের মেধা যাচাই পদ্ধতি লঙ্ঘন করছে কিনা তা যাচাইয়ের জন্য তদন্ত শুরু করেন। একটি গ্র্যান্ড জুরি ফ্লেচারের দলের সদস্যদের বিরুদ্ধে এবং শেষ পর্যন্ত ফ্লেচারের বিরুদ্ধে আনা বেশ কয়েকটি অভিযোগ ফিরিয়ে দেয়। ফ্লেচার তদন্তে অভিযুক্ত তার কর্মীদের সবাইকে ক্ষমা করে দেন, কিন্তু নিজেকে ক্ষমা করেননি। ২০০৬ সালের শেষের দিকে ফ্লেচার এবং স্টাম্বোর মধ্যে একটি চুক্তির মাধ্যমে তদন্তটি শেষ হলেও, ২০০৭ সালে ফ্লেচারের পুনর্নির্বাচন এ খারাপ প্রভাব ফেলে। রিপাবলিকানের প্রাথমিক নির্বাচনে, সাবেন কংগ্রেস মহিলা সদস্য অ্যানি নর্থাপ কে হারান ফ্লেচার। কিন্তু পরবর্তীতে স্টিভ বিশেয়ার এর কাছে হেরে যান। তার গভর্নর পদে মেয়াদ শেষ হলে, তিনি আল্টন হেলথ কেয়ারের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা হিসেবে তার চিকিৎসা জীবনে ফিরে যান। ব্যক্তি জীবনে তিনি বিবাহিত এবং দুই সন্তানের জনক।